Author's details
Name: মামুন রশিদ
Date registered: আগস্ট 20, 2012
URL: http://www.ttuhsc.edu/sop/directory/Details.aspx?id=1958
Biography
আমি ১৯৯৭ সালে ফরিদপুর জিলা স্কুল থেকে এসএসসি এবং ১৯৯৯ সালে নটরডেম কলেজ থেকে এইচ এস সি পাশ করি। এর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগে ভর্তি হয়ে বি ফার্ম পাশ করি এবং বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের বিপণন বিভাগে যোগ দিই। পরের বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যাল টেকনোলজি বিভাগে ভর্তি হই এবং একই সঙ্গে চাকুরী বদল করে স্কয়্যার ফার্মাসিউটিক্যালস এর আন্তর্জাতিক বিপণন বিভাগে যোগ দিই। ২০০৭ সালের দ্বিতীয়ার্ধে আমি কর্পোরেট থেকে অ্যাকাডেমিয়া জগতে সরে আসি এবং একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মাসি বিভাগে শিক্ষক হিসাবে যোগ দিই। ২০০৮ সালের অগাস্ট মাসে আমি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস টেক ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি করতে চলে আসি। আমার গবেষণার ক্ষেত্র হলো নিউরোসায়েন্স। মৃত্যুরত নিউরন কর্তৃক নিউরোলাইসিন নামক একটি এনজাইমের অতিরিক্ত উৎপাদন হলো আমার গবেষণার মূল বিষয়।অনার্স পড়ার সময় আমি একটি ভারতীয় আইটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পূর্ণ বৃত্তি লাভ করি, যার মাধ্যমে তাদের ঢাকাস্থ ক্যাম্পাস থেকে আমি আইটি এর উপরে একটি তিন বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করি। ওয়েবসাইট ডেভেলোপার ও প্রোগ্রামার হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমি অনিয়মিত ভাবে কিছু বেতনভুক্ত কাজ করেছিলাম। তবে দীর্ঘদিন চর্চা থেকে দূরে থাকার কারণে আজ অনেক কিছুই ভুলে গেছি।২০০৭ সালের জানুয়ারীতে জিআরই পরীক্ষা দিয়ে যখন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করছি, তখন আমি লক্ষ্য করি যে, বাংলাদেশী তরুণদের জন্যে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা এবং টিউটোরিং ও সঠিক কাউন্সেলিং সেবা সম্পন্ন প্রতিষ্ঠানের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। এই তাড়না বোধ থেকেই কয়েকজন সমমনা বন্ধুকে নিয়ে আমি স্ব উদ্যোগে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণদের নিয়ে সেমিনার ইত্যাদির মাধ্যমে তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি আন্দোলন শুরু করি। যুক্তরাষ্ট্রে আসার আগ পর্যন্ত দেড় বছরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক স্টুডেন্ট ও শিক্ষককে আমি প্রত্যক্ষভাবে জিআরই পরীক্ষার জন্যে প্রস্তুতি নিতে অথবা কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে উপকার করতে চেষ্টা করেছি। অনেকের কাছে জিআরই মামুন প্রতীকী নামে শুধু এ কারণেই আমি পরিচিত।আমার ভবিষ্যত পরিকল্পনার এক বড় অংশ জুড়ে ব্যক্তি মামুন রশিদ নয়, বরং আমার দেশের উচ্চশিক্ষিত তরুণ সমাজ। আমি স্বপ্ন দেখি একটি মানবহিতৈষী প্রকল্পের, যেখানে দেশের ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রফেশনাল ও একাডেমিক পর্যায়ের সবার মধ্যে একটি দৃঢ় নেটওয়ার্ক থাকবে এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সবাই নি:স্বার্থ ভাবে একে অন্যের উপকারে আসবে। যুক্তরাষ্ট্রের মেধাস্রোতে ভারত ও চীনাদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে থাকা আমার দরিদ্র মাতৃভূমির জন্যে একদিন কিছু একটা করতে পারবো এই সুখস্বপ্নই আমাকে প্রতি মুহূর্তে সামনে এগিয়ে যেতে প্রেরণা দেয়।
Latest posts
- নিউরোসায়েন্স লেকচার ১১: স্বাদ ও গন্ধ — জানুয়ারী 26, 2015
- নিউরোসায়েন্স লেকচার ১০: শ্রবণানুভূতি — জানুয়ারী 23, 2015
- নিউরোসায়েন্স লেকচার ৯: পারসেপশন বা অনুধাবন (দৃষ্টি) — মার্চ 17, 2014
- নিউরোসায়েন্স লেকচার ৮: নিউরাল টিউব থেকে পুর্ণাঙ্গ ব্রেইন — জানুয়ারী 23, 2014
- নিউরোসায়েন্স পরিচিতি – লেকচার ৭: ব্রেইনের বেড়ে ওঠা — নভেম্বর 19, 2013