প্রাথমিক গণিত কোর্সের পড়ুয়াদের স্বাগত জানাই। নিবন্ধন করে না থাকলে চট করে এখানে ক্লিক করে নাও। আর কোর্সের মূল পাতাটা এখানে।
আমাদের আজকের বিষয় দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির বিকাশ।
গতদিন আমরা রোমান সংখ্যার সীমাবদ্ধতা এবং এ থেকে বাঁচার জন্য দশমিক পদ্ধতির খবর জেনেছি। দশমিক পদ্ধতিতে ১০টি চিহ্ন রয়েছে যাদেরকে বলা হয় ভঙ্ক বা জিজিট। এগুলো হল – ০,১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯।
দশমিক পদ্ধতির বাহাদুরী হল শূণ্যের আবিস্কার এবং স্থানীয় মানের ব্যবহার। এখানে আমরা দেখেছি ১২ এর ১ আর ১২৩ এর ১ – দুইটবর মান এক নয়, যদিও তার পরম মান কিন্তু এক!
ভারতীয় গণিতবিদদের হাতে এটার জন্ম হলেও এখন এটি আরবীয় পদ্ধতি নামে পরিচিত।
আমাদের দেশে সেই সময় সবচেয়ে বড় যে সংখ্যাটি লেখা যেত সেটি ছিল পরার্ধ। পরার্ধ হল ১ এর পর ১৭টি শূণ্য দিলে যে সংখ্যাটি পাওয়া যায়।
আমরা অবশ্য এখন আর পরার্ধ , পদ্ম কিংবা মহাপদ্ম ব্যবহার করি না। কোটিতে গিয়ে ক্ষ্যামা দেই।
এবার তাহলে দেখে নেওয়া যাক এবারের ক্লাস।
যারা ব্যাপারগুলো আয়ত্ব করেছো তারা নিচের উদাহরণগুলো করার চেস্টা কর-
#. অঙ্কে লিখ-
১. সাতশত নয় ২. দুই হাজার পাঁচশত বিয়াল্লিশ ৩. আটাত্তর লক্ষ তিনশত দুই ৪. দুই কোটি দুই ৫. তিন পরার্ধ পাঁচ মহাপদ্ম সাত।
# কথায় লিখ
ক. ১০০০০০১,
খ. ২০০০৮৭৬
গ. ৬৭৮৫৪৩৯০৮২
ঘ. ৩২৪৫৬১০৯৭৬৪৫৩৬
সবার জন্য ঈদের শুভেচ্ছা।