«

»

সেপ্টে. 11

পরিবেশ বিজ্ঞান পরিচিতি লেকচার #০১ (পরিবেশ বিজ্ঞানের অ আ ক খ)

[কোর্সের মূল পাতা | নিবন্ধনের লিংক]

পরিবেশ বিজ্ঞান পরিচিতি


লেকচার #০১ (পরিবেশ বিজ্ঞানের অ আ ক খ)

 

===================
পরিবেশের সংজ্ঞা
===================
একবার মনেকরার চেষ্টা করুনতো দৈনন্দিন জীবনে অবচেতন মনেই নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলি প্রতিনিয়ত শুনে থাকেন কি না?

  • এই বাসা/ঘরে লেখ-পড়ার কোন পরিবেশ নাই!!
  • এই শহরে বসবাসের কোন পরিবেশ নেই !!!
  • সৎভাবে ব্যবসার কোন পরিবেশ নেই!!
  • বুড়িগঙ্গা নদীতে মৎস্য চাষ বা সাতার কাটার কোন পরিবেশ নেই !!
  • সুন্দরবনে রয়েল-বেঙ্গল টাইগারের বসবাসযোগ্য পরিবেশ সংকুচিত হয়ে আসতেছে।
  • দক্ষিণ অঞ্চলের জেলাগুলোতে ধান চাষের কোন পরিবেশ নেই!!!অর্থাৎ, কোন জৈব বস্তু এর (মানুষ, উদ্ভিদ, প্রাণী) চারপাশে যা কিছু আছে বা পরিপার্শ্বিক অবস্থা যা তার বৃদ্ধি, বেড়ে উঠা, বেঁচে থাকা বা কাজের পরিবেশকে প্রভাবিত করে থাকে তহাকেই পরিবেশ বলা হয়ে থাকে।

    পরিবেশের উপাদানগুলো কি কি?

    পরিবেশের উপাদানগুলিকে তাদের ভৌত অবস্থা, প্রকৃতি ও প্রভাবের উপর ভিত্তি করে নিম্নোক্ত শ্রেণী ও উপ-শ্রেনিতে ভাগ করা যায়ঃ

    ক) ভৌত পরিবেশ (Physical Environment)
    ১) বায়ু-মণ্ডল (Atmosphere)
    ২) বারি-মণ্ডল (Hydrosphere)
    ৩) অশ্ম-মণ্ডল (Lithosphere)

    খ) জৈব পরিবেশ (Biological Environment)
    ১) উদ্ভিদকুল (Flora)
    ২) প্রাণীকুল (Fauna)
    ৩) রোগজীবাণু (Microbe)

    গ) সামাজিক/সাংস্কৃতিক পরিবেশ (Social/Cultural Environment)
    ১) সমাজ/গোষ্ঠী (Society)
    ২) অর্থনীতি (Economy)
    ৩) রাজনীতি (Politics)

    ====================================
    বায়ু-মণ্ডলের উপর মানুষের প্রভাব:
    ====================================

  • গ্রীনহাউস প্রতিক্রিয়া
  • এরোসল (ধূলি, গ্যাস বা অন্যান্য খনিজ পদার্থের ক্ষুদ্র কণা) প্রতিক্রিয়া
  • ওজন স্তরের ক্ষয়
  • জলবায়ুর পরিবর্তন

    খাদ্য উৎপাদন কালে মানুষ যেভাবে বায়ুমণ্ডলকে দুষিত করছে

    ক) শিল্পায়ন যুগ শুরুর পূর্বে বায়ুমণ্ডলের গ্যাসগুলোর শতকরা পরিমাণ ছিল প্রায় ধ্রুব। শিল্পায়ন শুরু হবার পর হতেই যা পরিবর্তিত হতে শুরু করে। উদাহরণ স্বরূপ, বায়ুমণ্ডলের কার্বনডাই-অক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ বর্তমানে শিল্পায়ন শুরুর পূর্ববর্তী সময়ের চেয়ে প্রায় শতকরা ৩০% বেশি এবং প্রতিবছর যা দশমিক ৪ % বৃদ্ধি পাচ্ছে মূলত জীবাশ্ম জ্বালানী পুড়ানো ও বন ধ্বংসের কারণে।

    কৃষিকাজ ও পশুপালনের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত বায়ুমণ্ডলে মিথেন নির্গত হচ্ছে

    খ) এছাড়া কৃষিকাজ ও পশুপালনের মাধ্যমে মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড এর মত অন্যান্য গ্রীনহাউস বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়তেছে নিয়মিত ভাবে। গ্রীনহাউস গ্যাসের উৎসগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব তৃতীয় লেকচারে।

    গ) বায়ুমণ্ডলের অতিরিক্ত গ্রীনহাউস গ্যাসের কণাগুলো অবলোহিত রশ্মির (infrared radiation) বিশোষণ ও বিকিরণ বৃদ্ধি করে যার ফলে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    ঘ) কৃষি কাজের জন্য বন ধ্বংসের কারণে (পাহাড়ে জুম চাষের জন্য গাছ-পলা পুড়ানো), ভূমির ব্যবহারের পরিবর্তনের ফলে অথবা শক্তি উৎপাদনের জন্য কয়লা পুড়ানোর ফলে বায়ুমণ্ডলের ধূলি, গ্যাস বা অন্যান্য খনিজ পদার্থের ক্ষুদ্র কণার পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। শীতকালে আমরা যে কুয়াশা দেখতে পাই সেটা এই সকল এরোসল কণার জন্যই।
    এই ক্ষুদ্র কণাগুলোর উপরেই আবার জ্বলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে মেঘের সৃষ্টি হয়ে থাকে। অর্থাৎ বায়ুমণ্ডলের এরোসল কণার ঘনত্ব মেঘের সৃষ্টির উপর প্রভাব বিস্তার করে যা কিনা আবার বৃষ্টিপাতের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। এই সকল এরোসল কণাই এসিড বৃষ্টির প্রাথমিক ও প্রধান উপকরণ হিসাবে কাজ করে।

    ঙ) রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজে ক্লরো-ফ্লোরো কার্বন নামক এক প্রকার ক্ষতিকারক গ্যাস ব্যাবহারের কারণে ওজন স্তরের ক্ষতি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এই গ্যাস ওজন স্তরের ক্ষতি ছাড়াও শক্তিশালী গ্রীনহাউস গ্যাস হিসাবেও বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতেছে

    ======================================
    জীব-মণ্ডলের উপর মানুষের প্রভাব:
    ======================================

    পাহাড়ের প্রাকৃতিক বন ধ্বংস করে জুম চাষাবাদ

    ক) বনের গাছ-পালা ধ্বংস করে চাষাবাদ করা
    খ) জলাভূমি ভরাট করে শহরায়ন করা
    গ) কোন এলাকার স্বজাতীয় বৃক্ষ ধ্বংস করে অন্য জায়গায় বেড়ে ওঠা প্রজাতির বৃক্ষ রোপণ করে বাস্তু সংস্থানের পরিবর্তন করা (যেমন: বাংলাদেশের প্রচলিত আম- কাঁঠাল গাছ কেটে দ্রুত বর্ধনশীল আকাশমণি বা ইউকিলিপটাস গাছ রোপণ করা)।
    ঘ) সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংস করে চিংড়ি চাষাবাদ করে সেখানকার স্বাভাবিক বাস্তু সংস্থানের পরিবর্তন করা
    ঙ) কোন এলাকায় স্বাভাবিক ধরন ক্ষমতার অতিরিক্ত পশু চাড়ন করার ফলে সেখানে মরুকরণ ত্বরান্বিত করা।
    চ) কৃষি ক্ষেত্রে মাত্রা-রিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের ফলে ক্ষতিকর কীট-পতঙ্গের সাথে উপকারী প্রাণীর ক্ষতিসাধন করা।
    ছ) কৃষি ক্ষেত্রে প্রয়োজনের অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে তা বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে গিয়ে নদ-নদীর পানি দুষিত করতেছে। এই দূষিত পানি জলজ সম্পদের বৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত করতেছে ব্যাপক ভাবে ফলশ্রুতিতে সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশের নদ-নদীতে মৎস্য সম্পদের পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে উল্লেখযোগ্য হারে।

    =================================================
    বারি-মণ্ডলের উপর মানুষের প্রভাব:
    =================================================

    আমরা যেভাবে নদীকে ব্যবহার করি

    ক) কল-কারখানার অশোধিত বর্জ্য পদার্থ সরাসরি নদ-নদী বা জলাভূমিতে নিক্ষেপ যা কাল ক্রমে সমুদ্রে পানিতে গিয়ে মিশে সেখানকার পানি দুষিত করন।
    খ) জৈব পদার্থ (কয়লা, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, কাঠ ইত্যাদি) পুড়িয়ে শক্তি উৎপাদনের সময় যে গ্রীনহাউস গ্যাস ও এরোসল কণা বায়ুমন্ডলে নির্গত হয় তা বৃষ্টির পানিতে দ্রবীভূত এসিড বৃষ্টি হিসাবে ভূমিতে পতিত হওয়া ও পরিশেষে তা নদ-নদী ও আবদ্ধ জলাভূমিতে গিয়ে পতিত হওয়া।
    গ) পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে তৈরি করার ফলে নদ-নদীর স্বাভাবিক প্রবাহকে বিঘ্নিত করা। যার ফলে বাধের উজানে পানির গুনগত মানের পরিবর্তন করা ও বাধের ভাটি অঞ্চলের নদ-নদীতে পানি স্বল্পতাসহ জলজ সম্পদের স্বাভাবিক কলাপ বিঘ্নিত করা।

    আমরা যেভাবে নদীকে ব্যবহার করি

    ঘ) হাসপাতালের অশোধিত বর্জ্য পদার্থ হতে জীবাণু পানি বাহিত হয়ে মানব দেহে রোগের সৃষ্টি করা (যেমন: কলেরা, খাদ্য বিষক্রিয়া ইত্যাদি)

    =====================================
    অশ্ম-মণ্ডলের উপর মানুষের প্রভাব:
    =====================================

    ভূগর্ভস্থ খনিগুলো হতে উন্মুক্ত ভাবে খনিজ সম্পদ আহরণের ফলে ভূমির উপরিভাগের ব্যাপক পরিবর্তন সাধন

    ক) ভূগর্ভস্থ খনিগুলো হতে উন্মুক্ত ভাবে খনিজ সম্পদ আহরণের ফলে ভূমির উপরিভাগের ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে।
    খ) খনিজ সম্পদ আহরণের পরে তৎসংলগ্ন এলাকায় ভূমিধ্বস একটি সাধারণ ঘটনা
    গ) খনিগুলো হতে উন্মুক্ত ভাবে খনিজ সম্পদ আহরণের ফলে উর্বর কৃষি জমি পরিণত হচ্ছে পরিত্যক্ত জলাভূমিতে
    ঘ) খনিজ সম্পদ আহরণের কারণে তৎসংলগ্ন এলাকার ভূগর্ভস্থ পানির স্তরের পরিবর্তন সাধিত হয়
    ঙ) উন্মুক্ত ভাবে আহরিত খনিতে বৃষ্টির পানি জমে তা সেই এলাকার ভূগর্ভস্থ পানিকে দূষিত করে থাকে
    চ) বদ্ধ খনি সংলগ্ন এলাকায় নিয়মিত ভাবে ভূমিধ্বসের কারণে বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘটে নিয়মিত ফাটলের সৃষ্টি হয় এবং কৃষি জমি কোথাও দেবে গিয়ে ছোট অসমান ভূমির সৃষ্টি করে।

    কেন পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়ে পড়া-লেখা করব?

    বনের জীব-বৈচিত্র্য রক্ষা, নদী ও মহাসাগর দূষণ রোধ, উদ্ভিদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি; সর্বোপরি প্রকৃতির সুরক্ষা বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পরিবর্তিত বিশ্বে সমস্যা সমাধানের সমন্বিত প্রয়াস অনেক বেশি কার্যকর। তাইতো পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীরা নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে নিমগ্ন না থেকে জীববিদ্যা, রসায়ন, রাজনীতি, নীতি, মানুষের প্রকৃতি, সংস্কৃতি, পদার্থবিজ্ঞান, গণিত, আইন, অর্থনীতি, সমাজতত্ত্ব, ভূবিদ্যা বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করে থাকেন। এর ফলে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন বিষয়ে অর্জিত জ্ঞানকে একত্রিত করে সারা বিশ্বের পরিবেশগত সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য নিজেকে নিয়োজিত করতে পারেন।

    পরিবেশ বিজ্ঞানে কোন কোন বিষয়গুলো পড়ানো হয়?

    পরিবেশ সংক্রান্ত সমস্যা পৃথিবীর সর্বত্রই বিদ্যমান! পরিবেশ বিজ্ঞানে প্রধানত যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয় সেগুলো নিম্নরূপ:
    ক) জলবায়ুর পরিবর্তন(Climate Change )
    খ) প্রজাতির বিলুপ্ততা/ঝুঁকি/ক্ষতি (Loss of Biodiversity/Species at Risk )
    গ) বায়ু দূষণ (Air Pollution)
    ঘ) পানি দূষণ(Water pollution )
    ঙ) ভূগর্ভস্থ পানি দূষণ(Groundwater Contamination )
    চ) বন ব্যবস্থাপনা(Forest Management )
    ছ) মৎস্য এবং জলজ সম্পদ ব্যবস্থাপনা(Fisheries and Aquaculture Management)
    জ) জলাভূমি সংরক্ষণ(Wetland Conservation )
    ঝ) পরিবেশ সংক্রান্ত আইন(Environmental Regulations )
    ঞ) পরিবেশ তদবির (Environmental Lobbying)
    ট) পরিবেশ সংরক্ষণ(Environmental Conservation )
    ঠ) নবায়নযোগ্য শক্তি(Renewable Energy Sources )
    ড) দীর্ঘস্থায়ী উন্নতি(Sustainable Development )

    পরিবেশ বিজ্ঞানীরা কোথায় তাদের অর্জিত জ্ঞানকে প্রয়োগ করে?

    ক) বিশ্বব্যাপী উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণ ও পরিবেশের উপর এর ফলাফল
    খ) জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জনসংখ্যার স্থানান্তরণ
    গ) মনুষ্য ও জীব-জন্তুর স্বাস্থ্য ও রোগের উপর পরিবেশগত প্রভাব
    ঘ) তেলের পরিবর্তে বিকল্প শক্তির উৎস সনাক্তকরণ এবং মূল্যায়ন
    ঙ) বর্জ্য এবং দূষণ ব্যবস্থাপনা।(বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে তাল মিলিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে ও বর্জ্য এবং পরিবেশ দূষণ)
    চ) ভূমিকম্প এবং অগ্নুৎপাত কারণ ও ফলাফল বিশ্লেষণ
    ছ) বর্ধিত জনসংখ্যার চাহিদার সাথে সংগতি রেখে সম্পদের টেকসই আহরণ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ
    ঞ) ভূমিক্ষয়ের কারণে কৃষি ও বসত-যোগ্য জমির ক্ষতিগ্রস্ততা ও দূষণের ফলে মাটির গুণমানের পরিবর্তন নিরূপণ
    ট) খাদ্য এবং অন্যান্য উদ্ভিজ্জ পণ্য উৎপাদনের উপর চাষযোগ্য ভূমির পরিমাণ কমে যাওয়ার প্রভাব সেই সাথে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে স্বল্প পরিমাণ ভূমিতে বর্ধিত খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত করন
    ঠ) সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের বাসস্থানের ক্ষতি (যেমন প্রবাল প্রাচীর ক্ষতিগ্রস্ত) ও অতিমাত্রায় মৎস্য আহরণের মাধ্যমে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের বিলুপ্তি অধ্যয়ন ও ব্যবস্থাপনা
    ড) পানি সম্পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও যুদ্ধের সম্ভাব্যতা নির্ধারণ।

    পরিবেশ বিজ্ঞানীদের কর্মক্ষেত্র

    পরিবেশ বিজ্ঞানীদের প্রধান-প্রধান কর্মক্ষেত্রগুলি নিম্নরূপঃ

    ১) পরিবেশ বিষয়ক শিক্ষক
    ২) পরিবেশ বিষয়ক পরামর্শদাতা
    ৩) পরিবেশ মূল্যায়ন অফিসার
    ৪) পরিবেশ আইনজীবী
    ৫) পরিবেশ মধ্যস্থতাকারী
    ৬) পরিবেশ পরিকল্পক / নীতি বিশ্লেষক
    ৭) পরিবেশ সুরক্ষা অফিসার
    ৮) শক্তি নীতি বিশ্লেষক
    ৯) মৎস্য সম্পদ ব্যবস্থাপক
    ১০) বনজ সম্পদ ব্যবস্থাপক
    ১১) জল / বর্জ্য সম্পদ ব্যবস্থাপক
    ১২) ভূমি ব্যবহারের পরিকল্পক
    ১৩) পার্ক প্রকৃতিবাদী, বনরক্ষক
    ১৪) পরিবেশ পথপ্রদর্শক
    ১৫) যাদুঘর প্রদর্শক

    কয়েকজন পরিবেশ যোদ্ধা ব্যক্তির পরিচয়ঃ

    সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানঃ এশিয়ার নোবেল-খ্যাত র‌্যামন ম্যাগসাইসাই অ্যাওয়ার্ড-২০১২ বিজয়ী বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি(বেলা) এর প্রধান নির্বাহী।

    বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি(বেলা) এর প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

    ওয়েন গিরী মাথাই: আফ্রিকান পরিবেশ-বিদ ও ২০০৪ সালে শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী।

    ওয়েন গিরী মাথাই: আফ্রিকান পরিবেশ-বিদ ও ২০০৪ সালে শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী

    ওয়েন গিরী মাথাই ১৯৭৭ সালে কেনিয়াতে প্রতিষ্ঠিত করেন তার পরিবেশ আন্দোলন বিষয়ক প্রতিষ্ঠান Green Belt Movement। এই প্রতিষ্ঠানটি কেনিয়ায় ২ কোটি বৃক্ষ রোপণ করতে সাহায্য ও অনুপ্রাণিত করে। ১৯৮৬ সালে এই প্রতিষ্ঠানটি তার কর্মপরিধি বিস্তৃত করে সমগ্র আফ্রিকা মহাদেশে। ২০০৩ সালে ওয়েন গিরী মাথাই প্রায় ৯৮% ভোট পেয়ে কেনিয়ার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সেই সাথে Assistant Minister for Environment, Natural Resources and Wildlife দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ২০০৪ সালে নোবেল কমিটি এই পরিবেশ-বিদকে তার কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ শান্তিতে নোবেল পুরষ্কারের জন্য মনোনীত করেন।

    কৃতজ্ঞতাঃ শিক্ষক ডট কম

Comments

comments

About the author

মোস্তফা কামাল

বর্তমানে কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ে Earth and environmental science এ Ph.D ডিগ্রীর জন্য গবেষনা করতেছি। আমার Ph.D গবেষনার বিষয় ভূমির ব্যাবহারের পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়া ও জলবায়ুর কি পরিবর্তন সাধিত হয় তা নিয়ে।২০০৯ সালে ইউনেস্কো ও অন্তর্জাতিক পরমানু শক্তি সংস্হার (IAEA) একটা পূর্ন বৃত্তি নিয়ে ইটালির The Abdus Salam International Centre for Theoretical Physics (ICTP) থেকে Earth System Physics এ এক বছরের Post Graduate Diploma সম্পন্ন করেছি। পদার্থ বিদ্যায় অনার্স (২০০৬) ও মাস্টার্স (২০০৮) ডিগ্রী অর্জন করেছি শাহ্‌ জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

Leave a Reply