«

»

অক্টো. 13

CCNA পরিচিতি – লেকচার ৪ – ক্লাস-সি সাবনেটিং

[কোর্সের মূল পাতা | নিবন্ধনের লিংক]
 

সাবনেটিং:

বড় নেটওয়ার্কে ছোট নেটওয়ার্কে বিভক্ত করার পদ্ধতিকে বলা হয় সাবনেটিং।

সাবনেট করার সময় যে বিষয়টি মনে রাখতে হবে, তা হলো

১২৮১৯২২২৪২৪০২৪৮২৫২২৫৪২৫৫

 

এই ধারাটি মনে রাখলে যেকোন সাবনেটিং করা সম্ভব ।

কেন এই সাবনেটিং?

ছোট নেটওয়ার্ক তৈরি (বড় নেটওয়ার্ক এর পরিবর্তে) দ্বারা, আমরা ভাল নিরাপত্তা, কম কলিশন এবং ব্রডকাস্ট ডোমেইন, এবং প্রতিটি নেটওয়ার্ক বৃহত্তর প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ প্রাপ্ত করা যায় ।

চলুন একটি উদাহরণের মাধ্যমে জানানর চেস্টা করি

একটি শহরে কোন ব্লক নেই শুধু একটা দীর্ঘ রাস্তায় আছে । এখন যদি ডাকহরকরা করিম সাহেব নামে একজনকে চিঠি দিতে চায় তাহলে যে সমস্যাটি হবে। এই রাস্তায় করিম নামে অনেকেই থাকতে পারে এই অবস্থায় ডাকহরকরার পাগলের মতো অবস্থা হবে। কিন্তু যদি এই রাস্তায় কতগুলো ব্লক থাকে তাহলে সহজেই কোন ব্লকের করিম সাহেব তা সহজেই খুজেঁ বাহির করতে পারবে।

এটি একটি IP সঙ্গে একই দৃশ্যকল্প. ছোট নেটওয়ার্ক তৈরি করে, আমরা আরো কার্যকরভাবে প্রতিটি হোস্ট তথ্য পেতে পারেন।

Class-C  সাবনেটিং :

আমরা আগেই জেনেছি  ক্লাস সি এর প্রথম ২৪ বিট নেটওয়ার্ক আইডি আর বাকি ৮ বিট হোস্ট আইডি। যদি নেটওয়ার্ক আইডি এর সংখ্যা বেশি আর হোস্ট আইডির সংখ্যা কম প্রয়োজন হয় তাহলে আমরা ক্লাস-সি এর আইপি সিলেক্ট করব।

 

একটি সি ক্লাস এর নেটওয়ার্ক দিয়ে নীচে বণর্না করা হলো:

[এখানে নেটওয়ার্ক সংখ্যা হলো কতগুলো নেটওয়ার্ক হবে, হোস্ট হলো কতগুলো হোস্ট হবে আর সাবনেট আইডি হলো সাবনেট গুলো কত করে হবে।]

ইন্টারভিট বোর্ডে সাধারণত এ ধরনের (১৯২.১৬৮.১০.০/২৮)

একটি ব্লক দিয়ে বলবে বলেন তো এখানে কতগুলো নেটওয়ার্ক আছে এবং প্রত্যেক নেটওয়ার্কে কতগুলো হোস্ট আছে।

আমরা নেটওয়ার্ক দেখেই যেহেতু বুঝতে পারছি সি ক্লাস নেটওয়ার্ক তাহলে ২৪ বিট ব্যবহার হচ্ছে নেটওয়ার্কের জন্য । যেহেতু /২৮ তাহলে /২৪ বিট বাদ দিলে থাকে ৪বিট । উপরের ধারা অনুযায়ী তাহলে হয় ২৪০. ইহায় হলো সাবনেট মাস্ক।

সর্ম্পূন প্যাকটিক্যাল দেখি

১৯২.১৬৮.১০.০/২৮

২৫৫.২৫৫.২৫৫.২৪০

নেটওয়ার্ক সংখ্যা=২ =১৬

হোস্টের সংখ্যা= ২-২=১৪

সাবনেট আইডি =২৫৬-২৪০=১৬

[এখানে নেটওয়ার্ক বলতে কোন নেটওয়ার্ক তা বুঝায়, প্রথম হোস্ট বলতে প্রথম হোস্ট এড্রেস, শেষ হোস্ট হলো ব্রডকাস্ট এড্রেস এর আগের এড্রেস আর ব্রডকাস্ট এড্রেস হলো পরবর্তী নেটওয়ার্ক এর আগের এড্রেস।]

 

1

2

3

4

**প্রশ্ন**

এখন যদি প্রশ্ন করা হয় কোনটি ব্যবহার যোগ্য হোস্ট এ্যাড্রেস?

১. ১৯২.১৬৮.১০.২০৮/২৮

২. ১৯২.১৬৮.১০.১৫/২৮

৩. ১৯২.১৬৮.১০.২৪০/২৮

৪. ১৯২.১৬৮.১০.১১৩/২৮

আবার যদি প্রশ্ন করা হয় কোনটি নেটওয়ার্ক এ্যাড্রেস?

১. ১৯২.১৬৮.১০.২০৭/২৮

২. ১৯২.১৬৮.১০.১৪/২৮

৩. ১৯২.১৬৮.১০.৪৮/২৮

৪. ১৯২.১৬৮.১০.১১০/২৮

 

এছাড়াএ আরেকটি বিষয় জানা থাকা দরকার তা হলো

সাধারণত পয়েন্ট টু পয়েন্ট কানেকশন এর জন্য ব্যবহিত নেটওয়ার্কটি হলো:

১৯২.১৬৮.১০.০/৩০

২৫৫.২৫৫.২৫৫.২৫২

নেটওয়ার্ক সংখ্যা=২ =৬৪

হোস্টের সংখ্যা= ২-২=২

সাবনেট আইডি =২৫৬-২৫২=৪

আজকের মতো সি ক্লাস সাবনেটিং এখানেই শেষ করছি।

___________________________________________________________________

 

 

Comments

comments

About the author

তিতাস সরকার

আমি তিতাস সরকার। আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইটি তে মাস্টার্স করেছি এবং সিসিএনএ পরীক্ষা দিয়ে সিসকো সার্টিফাইড হয়েছি।ইনফরমেশন টেকনোলজি নিয়ে জানতে এবং জানাতে ভাল লাগে, তাই আমার এই উদ্যোগ। আশাকরি আইটিতে ক্যারিয়ার করতে আগ্রহী নতুনদের এই কোর্সটি কাজে লাগবে। আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফেইজবুকের এই লিংকে:
https://www.facebook.com/titas.sarker

Leave a Reply