«

»

অক্টো. 20

HSC English Text Reading – Lecture 6


Unit-3 Lesson-1 Text Book page no- 33

[কোর্সের মূল পাতা | নিবন্ধনের লিংক]

 

ডাউনলোড করে নিতে পারেন অডিও ফরম্যাটে এখান থেকে – [MP3] [MP4] [PDF]

 

Unit-3 Lesson-1 Text Book page no- 33

বিষয়বস্তু

ভাষা শিক্ষার দু’টি পদ্ধতি আছে। একটি হচ্ছে আত্মীকরণ পদ্ধতি অন্যটি শিক্ষণ পদ্ধতি। আত্মীকরণ অর্ন্তমুখীন পদ্ধতি আর শিক্ষণ হচ্ছে বর্হিমুখীন পদ্ধতি। ভাষা বিশেষজ্ঞদের মতে আত্মীকরণ পদ্ধতি সফল পদ্ধতি। আজকের দিনে শিক্ষকগণ শিক্ষার্থীদেরকে আত্মীকরণ পদ্ধতিতে শিখতে উৎসাহ দেন। উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণীর ইংরেজি পাঠ্য বইটি আত্মীকরণ পদ্ধতিতে সাজানো হয়েছে।

লেকচার
বিভিন্ন পরিবেশে অপরের সাথে মনের যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যম হচ্ছে ভাষা। আর ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশে ভাষার মাধ্যমে অপরের সাথে সফল যোগযোগের এই দক্ষতাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই যে আমাদের জীবনে বিপুল কর্মযজ্ঞের স্রোত বয়ে চলেছে। এই স্রোত, এই উল্লাস, এই ব্যস্ততা সবই চলছে ভাষাকে আশ্রয় করে। আমরা একে অপরের সাথে সফলভাবে যোগাযোগ করতে পারছি বলে আমার প্রয়োজনের কথা অপরকে ভাষার মাধ্যমে বলে বুঝাতে পারছি আর অপরের প্রয়োজনের কথা ভাষার মাধ্যমে বুঝতে পারছি। পরস্পরের সাথে সফলভাবে যোগাযোগ না করতে পারলে আমাদের এই বিপুল ব্যস্ততা আর কর্মযজ্ঞ  সব থেমে যেত। ভাষা আমাদের ক্ষুদ্র কর্মের গন্ডিকে বিপুল বিশ্বের কর্মযজ্ঞের সাথে সমন্বয় করতে সাহায্য করে। ভাষার মাধ্যমে আমরা কাজের কথা বলতে, বুঝাতে ও বুঝতে পারি। সে কারণেরই বোধ হয় Verb ছাড়া বাক্য হয় না। একটি বাক্যে Parts of Speech না থাকলেও কমপক্ষে একটি Verb থাকতে হয়। অর্থাৎ একটি ক্রিয়া বা কাজের কথা থাকতে হয়। জীবনে প্রয়োজন কাজ আর কাজের জন্য প্রয়োজন ইংরেজী ভাষা। বর্তমান যুগে মানুষের কাজের গন্ডি বেড়ে গেছে। উচ্চ পর্যায়ে তো বটেই সাধারণ পর্যায়েও বিদেশী লোকজনের সাথে উঠাবসা ও সম্পৃক্ততা বেড়েছে। সেখানে দরকার ইংরেজী। আবার তথ্য প্রবাহের এই যুগে ব্যবসা-বাণিজ্য সহ সকল ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য পাওয়া খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে। সঠিক তথ্য পেতে গেলেও দরকার ইংরেজী। এভাবে বর্তমানে ইংরেজী হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রয়োজনের ভাষা। তাই পূর্বে যেমন ইংরেজী ভাষা বলা, লেখা কিংম্বা উচ্চারণের ক্ষেত্রে একটা আদর্শ মান বজায় রাখতে হতো বর্তমানে তা আর অতটা মানা হয় না। পূর্বে গ্রামারের সূত্র অনুযায়ী বাক্য গঠন করে সঠিক উচ্চারণে সেই বাক্য বলা বা লেখা না হলে তা গ্রহণ করা হতো না। আদর্শ মানের ইংরেজী বলতে বা লিখতে না পারলে নিন্দা পেতে হতো। কিন্তু বর্তমানে বাস্তব কারণেই আদর্শ মান বজায় রাখার ব্যাপারটি শিথিল করা হয়েছে। কারণ বর্তমান যুগে জ্ঞান বিজ্ঞানের গভীরতা এত বেড়েছে যে একই ব্যক্তি সব বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হতে পারে না। একজন মেধাবী ইঞ্জিনিয়ার যিনি ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে প্রচুর জানেন এবং কর্মক্ষেত্রে তিনি একজন ব্যস্ত মানুষ। তার পক্ষে ইংরেজী ভাষায় পন্ডিত হবার মত পড়াশুনা করার সময় বা সুযোগ কোনোটিই নেই। অথচ পেশাগত প্রয়োজনে তাকে তার উচ্চপদস্থ বিদেশী কর্তা (বস্), বিদেশী ঠিকাদার অথবা আরও বিদেশী লোকজনের সাথে ইংরেজীতে যোগাযোগ করতে হতে পারে। এ অবস্থায় আশা করা হয় না যে উক্ত ইঞ্জিনিয়ার সাহেব পন্ডিতের মত ইংরেজী বলবেন বা লিখবেন। তিনি দীর্ঘ সময় পড়াশুনা করেই ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পন্ডিত হয়েছেন। আশা করা যায় না যে একই ব্যক্তি সব বিষয়ে পন্ডিত হবেন। তাই তিনি যেমন ইংরেজীই বলুন বা লিখুন না কেন তা যদি গ্রামারের দিক থেকে অতটা সঠিক না ও হয় তবুও তা গ্রহণযোগ্য হবে।
আবার ভিন্ন চিত্রও আছে। ধরা যাক আধুনিক মানের একটি হোটেলের একজন ওয়েটার যাকে প্রায়ই বিদেশী আগন্তুকদেরকে খাবার সার্ভ করতে হয়। ওয়েটার হিসেবে তার চমৎকার পেশাগত দক্ষতা আছে কিন্তু ইংরেজী ভাষা শুদ্ধভাবে আয়ত্ব করার মত মেধা তার নেই। এ অবস্থায় তিনি কি শুদ্ধ ইংরেজী না শেখা পর্যন্ত তার পেশাগত দক্ষতা ও সেবা থেকে আগন্তুকদের বঞ্চিত করে যাবেন? নাকি তার চলনসই ইংরেজী দিয়ে কাজ চালিয়ে যাবেন? তিনি যদি আদর্শমানের ইংরেজী না-ই বলতে পারেন তাতে তার খদ্দেররা কিছু মনে করবে না। একজন ভাল ওয়েটারের কাছে কেউ ইংরেজী ভাষার ফুলঝুরি আশা করে না। ওয়েটারের কাছে তারা আশা করে ভাল সেবা। ওয়েটার যেমন ধরনের ইংরেজীই বলুন না কেন খদ্দেররা তা বুঝতে পারলেই কাজ হয়ে গেল। এভাবে দেখা যাচ্ছে বড় থেকে ছোট সকল কাজেই ইংরেজীতে যোগযোগ করার প্রয়োজনটাই বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। যখন চলনসই ইংরেজীতে সফল যোগাযোগ স্থাপনই মূল প্রয়োজন তখন শুদ্ধ ইংরেজী শেখার অপেক্ষায় বসে থাকলে কর্মক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়তে হবে। এই বাস্তব কারণেই কমিউনিকেটিভ ইংরেজীর ধারণা এসেছে। অর্থাৎ বক্তা যা বলেন শ্রোতা যদি তা বুঝতে পারে তাহলেই যথেষ্ট। সেখানে গ্রামার বা ভাষার গঠনগত দিকটি গুরুত্বপূর্ণ ধরা হয়না। সফল যোগাযোগ স্থাপনই কমিউনিকেটিভ ইংরেজীর মূল কথা। Communication is more important than correctness. শুদ্ধতার চাইতে যোগাযোগের প্রয়োজনটাই যেখানে বেশী গুরত্বপূর্ণ সেখানেই দরকার কমিউনিকেটিভ ইংলিশ।
আমরা জানি, একটি ভাষা শিখবার দুই ধরনের পদ্ধতি আছে। একটি হচ্ছে আত্মীকরণ পদ্ধতি আপরটি শিক্ষণ পদ্ধতি। আত্মীকরণ পদ্ধতিতে ভাষার নিয়মকানুন বা গ্রামার না জেনেও শুধুমাত্র ভাষাকে বাস্তব ক্ষেত্রে ব্যবাহার করার মাধ্যমে শেখা হয়। একজন নিরক্ষর কৃষক কিম্বা দিনমুজর ব্যক্তি যিনি কোনোদিন বাংলা ব্যকরণ পড়েন নি তার পক্ষেও বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে কোনো অসুবিধাই হয় না। কারণ কৃষক তার প্রয়োজনের তাগিদেই বাংলা ভাষা চর্চা করতে করতে বাংলাকে নিজের মনের গভীরে গ্রহণ করে নিয়েছেন। ভাষাকে আপন করে নিয়েছেন। এভাবে আমরা মাতৃভাষা আত্মস্থ বা আত্তীকরণ করে থাকি। মাতৃভাষা আমরা শিখি মনের প্রচন্ড তাড়নার কারণে। মাতৃভাষা শিক্ষা করা মূলত একটি জৈবিক তাড়না। শিশু যেমন অবচেতন মনে জানে যে, খাদ্য না পেলে তার অস্তিত্ব বাঁচবে না তাই সে অস্তিত্ব রক্ষার জৈবিক তাড়ানায় খাদ্যের জন্য কাঁদে। শিশুর কাছে ভাষা শিক্ষাও খাদ্য গ্রহণের মতই একটি জৈবিক তাড়না। শিশু বুঝতে পারে যে অস্তিত্বের স্বার্থে তাকে বাইরের পরিমন্ডলের সাথে (মা-বাবা আরও অন্যান্য) যোগাযোগ স্থাপন করতেই হবে। অস্তিত্ব রক্ষার এই তাড়না থেকেই শিশু গ্রামার না জেনেই ভাষা ব্যবহার করার চেষ্টা করে। ভাষা শিক্ষার প্রাথমিক চেষ্টায় লিপ্ত হয়। শিশুর কাছে ভাষা শিক্ষার তাড়নাটি মূলতঃ খাদ্য গ্রহণের মতই একটি জৈবিক তাড়না। আদিম, অকৃত্রিম, প্রাকৃতিক তাড়না। তাই Acquisation বা আত্তীকরণ পদ্ধতিকে বলা হয় শিশুর পদ্ধতি বা আদিম বা প্রাকৃতিক পদ্ধতি যেখানে শিক্ষার্থী ভাষা শিক্ষার ব্যাপারটিকে জীবন-মরণ সমস্যা মনে করে এবং ভাষার নিয়ম-কানুন বা গ্রামার না জেনেই সরাসরি ভাষা ব্যবহারের প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়।

 

ভাষা শিক্ষার আর একটি পদ্ধতি হচ্ছে Learning বা শিক্ষণ পদ্ধতি যেখানে ঐ ভাষার নিয়ম কানুন পড়ে ভাষা সম্পর্কে জানার সচেতন চেষ্টা করা হয়। শিক্ষণ পদ্ধতিতে আমরা ভাষার গঠনগত দিক সম্পর্কে জানতে পারি। তারপরও যেখানে ভাষা শিক্ষার উদ্দেশ্য ব্যবহারিক ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা সেখানে চর্চার কোনো বিকল্প নেই। তাই বলা হয়, গ্রামার পড়ে পড়ে ভাষা শিক্ষার চাইতে চর্চা করার দ্বারা ভাষা শিক্ষাই উত্তম। শিক্ষণের চাইতে আত্তীকরণ পদ্ধতিই বেশী সুফল দেয়। ভাষা শিক্ষার কাজটিকে জীবন-মরণ প্রয়োজন মনে করে কেউ যদি সরাসরি ভাষা ব্যবহারের প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয় তবে সে আত্তীকরণ পদ্ধতিতে তা শিখতে পারবে। বর্তমান যুগে ভাল একটা অবস্থানে পৌঁছাতে হলে ইংরেজী ভাষা শেখা যে কত প্রয়োজন এই চিন্তাকে মনের মধ্যে আনতে হবে। ইংরেজী ভাষা শিক্ষাকে জীবন-মরণ প্রয়োজন মনে করতে হবে, সব দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ঝেড়ে ফেলে সরাসরি অংশগ্রহণ করতে হবে তবেই না ইংরেজী শেখা যাবে। উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণীর ইংরেজী বইটি কমিউনিকেটিভ পদ্ধতিতে পঠন পাঠনের উদ্দেশ্যেই দেয়া হয়েছে। শ্রেণিতে ছাত্রছাত্রী নিজেদের মধ্যে ও শিক্ষকের সাথে কথোপকথনের মাধ্যমে ভাষা শিক্ষা করবে।

Main Text:
Communicative competence refers to the ability to use language appropriately in different circumstances. There are two ways of developing communicative competence in a language. The first is acquisition which is similar to the way people develop ability in their mother tongue. It is a natural, subconscious process in which users are not usually aware of acquiring a language. They are aware only of the fact that they are using the language to communicate in non-technical terms, acquisition is ‘picking up a language spontaneously. It may also be called ‘implicit’ learning. On the other hand, the second way of developing communicative competence in a language is learning that language. It refers to conscious knowledge of a language, knowing the rules of language use, being aware of using them, and being able to talk about them. In non-technical terms, learns is to know consciously about a language. It may be described as ‘explicit’ learning. Language specialists believe that acquiring a language is more successful and longer lasting than learning. Therefore, teachers these days encourage learners of a second language to practice and experience the language in different situations where they are involved in communicating with others. And that is exactly what the tasks in this book are designed to do.

Comments

comments

About the author

ফিরোজ আহমেদ

আমি ফিরোজ আহমেদ। অবস্থান- বগুড়া শহর, বগুড়া, বাংলাদেশ। এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি তে সাইন্স ব্যাকগ্রাউন্ডসহ ইংরেজী সাহিত্যে অনার্সসহ মাস্টার্স করেছি। “এ্যাপ্লাইড ইংলিশ পয়েন্ট”- নামে ইংরেজী শিক্ষার প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। পাঠ্য সহায়ক পুস্তক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সাথে খন্ডকালীন লেখক হিসেবে জড়িত। সাহিত্য বিষয়ের সমালোচনামূলক পাঠপত্রের ভক্ত। সৃষ্টিশীল লেখালেখিতে আগ্রহী। বাংলাদেশের একাডেমিক পড়াশুনাতে মাল্টিমিডিয়া এবং আইটি সুবিধাদির ব্যাপক প্রসার হোক এটাই আমার একান্ত চাওয়া।

Leave a Reply