«

»

আগস্ট 04

টেকনিকাল রিপোর্ট রাইটিং – লেকচার ১৫ – ফরমাল রিপোর্ট

[কোর্সের মূল পাতা | নিবন্ধনের লিংক]

আগের বিভিন্ন লেকচারে আমরা ইনফরমাল রিপোর্ট রাইটিং এর উদাহরণ দিয়েছি। খুব শীঘ্রই আমরা থিসিস রাইটিং বিষয়ে আলোচনা করবো। থিসিস যেহেতু একটি ফরমাল রিপোর্ট, তাই এই লেকচারে ফরমাল রিপোর্ট সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো।

 

ফরমাল রিপোর্ট

ফরমাল ফরম্যাটে করা ডকুমেন্ট দেখতে অনেক বেশি অফিসিয়াল মনে হয়। এই ফরম্যাট হরহামেশাই ব্যাবহার করা হয় দীর্ঘ ডকুমেন্ট (সাধারণত ১০ বা তার বেশি পৃষ্ঠার) অথবা নীতি নির্ধারনী, গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনামূলক, তাৎপর্যপূর্ণ গবেষণার ফলাফল সংক্রান্ত ডকুমেন্ট তৈরিতে।

এই ফরম্যাটে দেখা যায় একটা টাইটেল পৃষ্ঠা, একটা কনটেন্ট বিবরণী, একটা সামারি, এবং একটা ভূমিকা।

টাইটেল পৃষ্ঠায় পাওয়া যায় রিপোর্টের একটা ওভারভিউ যেমন টাইটেল, লেখকের নাম, তারিখ, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে রিপোর্ট নম্বর এবং রিপোর্ট রেসিপেন্টের নাম।

কনটেন্ট বিবরণীতে থাকে রিপোর্টের সব মেইন সেকশন এবং সাব-সেকশনের নাম এবং সেসবের পৃষ্ঠা নম্বর।

সামারি বা এক্সিকিউটিভ সামারি বা অ্যাবস্ট্রাক্ট হলো রিপোর্টের সার-সংক্ষেপ যা পড়ার পর পাঠকের জানতে ইচ্ছে হবে উপসংহার এবং ব্যাখ্যাগুলো।

ভূমিকাতে থাকে প্রাথমিক ধারনা- প্রেক্ষাপট, স্কোপ, উদ্দেশ্য, মেথড এবং রিকমেন্ডশন।

 

ফরমাল রিপোর্টের বিভিন্ন অংশ

ফরমাল রিপোর্টের সাথে ইনফরমাল রিপোর্টের বিভিন্ন অংশের মূল তফাৎ আসলে ফ্রন্ট ম্যাটেরিয়াল এবং মূল বক্তব্যের উপস্থাপন মেথডে। অন্যান্য অংশ যেমন আপেনডিক্স, তথ্যসুত্র, ভূমিকা, উপসংহার এবং সুপারিশমালা দুই ধরনের রিপোর্টেই থাকে।

 

ফ্রন্ট ম্যাটেরিয়ালে থাকে টাইটেল পৃষ্ঠা, কনটেন্ট বিবরণী, ইলাস্ট্রেশন তালিকা, সামারি বা এবস্ট্রাক্ট, ট্রান্সমিটাল লেটার ইত্যাদি। এন্ড ম্যাটেরিয়ালে দেখা যায় গ্লোসারী, সংকেত বা চিহ্ন তালিকা, তথ্যসূত্র এবং অ্যাপেনডিক্স। আলোচনা বা বিশ্লেষণ প্রায়শই বিভিন্ন অধ্যায়ে বা পরিচ্ছেদে লেখা হয়ে থাকে। বহুল প্রচলিত দুই ধরনের ফরমাল রিপোর্টের বিভিন্ন অংশ নিম্নরূপঃ

 

ট্রেডিশনালঅ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ
টাইটেল পৃষ্ঠাকনটেন্ট বিবরণীইলাস্ট্রেশন তালিকাসামারি বা এবস্ট্রাক্ট

ভূমিকা

আলোচনা

উপসংহার

সুপারিশমালা

তথ্যসূত্র

আপেনডিক্স

টাইটেল পৃষ্ঠাকনটেন্ট বিবরণীইলাস্ট্রেশন তালিকাসামারি বা এবস্ট্রাক্ট

ভূমিকা

উপসংহার

সুপারিশমালা

আলোচনা

তথ্যসূত্র

আপেনডিক্স

 

আমরা আমাদের জীবনের প্রথম ফরমাল রিপোর্ট সাধারণত লিখে থাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ বর্ষে যখন থিসিস লিখি। তাই থিসিস লেখার লেকচারেই ফরমাল রিপোর্ট নিয়ে বিশদ আলোচনা হবে।

 

Comments

comments

About the author

বিলাস আহমেদ খাঁন

আমি খুব মাঝারি গোছের মানুষ। স্কুল-কলেজে কোনদিন ফার্স্ট হইনি, ফেলও করিনি। আমার মেধা কম, কিন্তু হতাশাবাদী নই। আমি বিশ্বাস করি, স্বপ্ন এবং চেষ্টা খুব কম মেধার মানুষকেও অনেক দূর নিয়ে যেতে পারে। আমি জানি, আমাদের দেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই আমার মতো যারা ক্লাসরুমে পেছনের বেঞ্চে বসেই স্বস্তি পায়, অধিকাংশ শিক্ষকই তাদের নাম মনে রাখতে পারেন না। কোন দরকারে শিক্ষকদের কাছে গেলে শুনতে হয় "তুমি আমাদের ছাত্র? কোনদিন তো দেখিনি!" আমি ওইসব শিক্ষার্থীদেরকে বলতে চাই "হতাশ হয়ো না। দুনিয়াতে খুব বেশি মানুষ প্রকৃতির উপহার নিয়ে মেধাবী হয় না। বেশির ভাগ মানুষই তোমার-আমার মতো। অল্প মেধা নিয়েও সততা, ধৈর্য্য, চেষ্টা আর স্বপ্ন দিয়ে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়া যায়।"

পরিচিতিঃ আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত কলেজ অব টেক্সটেইল ইঞ্জিনিয়ারিং (বর্তমানে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে বি এস সি করেছি, এরপর দক্ষিন কোরিয়ার ইনহা বিশ্ববিদ্যালয়ে জিওসিনথেটিক্স নিয়ে গবেষণার চেষ্টা করেছি। ইনহা থেকে মাস্টার্স ও পি এইচ ডি-শেষ করেছি। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন কুইন্সল্যান্ডে বসে কম্পোজিট ম্যাটেরিয়াল সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছি।

Leave a Reply