«

»

আগস্ট 17

HSC English Text Reading – Lecture 1-2

Unit-1 Lesson-1 Text Book page no- 01 – জিনিয়ার চিঠি

লেকচার ১কে দুই ভাগে ভাগ করে দেয়া হচ্ছে। আজ প্রকাশিত হলো ২য়  ভাগ।

[কোর্সের মূল পাতা | নিবন্ধনের লিংক]

 

লেকচার ভিডিও

 

ডাউনলোড করে নিতে পারেন অডিও ও ভিডিও ফরম্যাটে এখান থেকে – [MP4] [MP3] [AMR] [PDF]

 

Unit-1 Lesson-1 Text Book page no- 01

জিনিয়ার চিঠি

বিষয়বস্তু
একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী জিনিয়া উচ্চবিত্ত পরিবারের একমাত্র মেয়ে। বাবা-মা উভয়ে কর্মজীবি। পড়ার জন্য আলাদা নিজস্ব ঘর আছে। চার সদস্যের পরিবারে সবাই নিজ নিজ কাজে অতিব্যস্ত। কেউ কাউকে যথেষ্ট সময় দেয় না বলে পারস্পারিক সম্পর্ক গাঢ় নয়। ফলে সবধরনের স্বচ্ছলতার মধ্যেও জিনিয়া প্রচন্ড একাকী বোধ করে। নিরাপত্তার কারণে একা বের হতে পারেনা, ফলে কারো সঙ্গ পায় না। আবেগ অনুভূতি শেয়ার করতে পারে না, ফলে মানসিক চাপ। পড়াশুনায় বিঘ্ন।

লেকচার
নাজনীন তার সমস্যা জানিয়ে মিতা আপাকে যে চিঠি লেখে সে চিঠির উত্তর মিতা আপা দেননি। কারণ নাজনীনের মত একাদশ শ্রেণীর আরেক ছাত্রী জিনিয়ার লেখা চিঠির মধ্যেই নাজনীন তার সমস্যার সমাধান পেয়ে যায়। জিনিয়া একক পরিবারে বাস করে। চার সদস্যের পরিবারে সবাই নিজ নিজ জগত নিয়ে ব্যস্ত। সকলেই নিজ নিজ গন্ডিতে আবদ্ধ। কেউ কারো সাথে মন খুলে কথা পর্যন্ত বলে না। পরস্পরকে সময় দেয় না । যেন একজনের জগতের মধ্যে আরেকজনের প্রবেশ নিষেধ। চার সদস্যের সকলেই নিজ নিজ গন্ডিতে চুড়ান্ত অধিকার ভোগ করে। শিক্ষার্থী হিসেবে জিনিয়াকে জিনিয়ার পরিবার সব স্বচ্ছলতা এবং সব অধিকারই দিয়েছে। আলাদা পড়ার ঘর দিয়েছে। সম্ভবতঃ ঘরের টুকিটাকি কাজটুকুও জিনিয়াকে করতে হয় না। হাতে তার অফুরন্ত সময় আছে। কিন্তু দু’দন্ড বসে কথা বলার মত কেউ কাছে নেই। ভার্সিটিতে পড়া ভাইটি সকালে ভার্সিটিতে যায় আর বাসায় ফেরে সন্ধ্যার অনেক পরে। বাইরে সে কোথায় কিভাবে সময় কাটায় তা নিয়ে সে কারো সাথে আলাপ করে না। বাবা মা উভয়ে নিজ নিজ কর্মজগত নিয়ে ব্যস্ত। মনে হয় জিনিয়ার পরিবারে সকল সদস্যই নিজ নিজ জগতে চূড়ান্ত অধিকার ভোগ করছে কিন্তু কেউ কারো প্রতি দায়িত্ব পালন করছে না। এ পরিবারে অধিকার বেশী কিন্তু কর্তব্যবোধ কম। এখানে পারিবারিক কর্তব্য দায়সারা গোছের এবং সদস্যরা পরস্পরের প্রতি উদাসীন। এখানেও ঐ একই অধিকার ও কর্তব্যের অসংগতি। জিনিয়া মনে করেছে যৌথ পরিবারে বা বড় পরিবারে দাদা-দাদী, চাচা-ফুফু ও কাজিনদের সাথে একত্রে বাস করতে পারলে সে হাসি আনন্দে দিন কাটাতে পারত। নাজনীনের সৌভাগ্যকে সে হিংসা করে বলে অকপটে স্বীকার করেছে।
এ চিঠি দু’টির মাধ্যমে আমরা আমাদের দেশে প্রচলিত দু’ধরনের পরিবারের ঘনিষ্ঠ চিত্র দেখতে পাই। একটি হচ্ছে “যৌথ পরিবার” বা “একান্নবর্তী পরিবার” এবং অন্যটি হচ্ছে “একক পরিবার”। চিঠি দু’টি থেকে আমরা আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শিক্ষা পাই। তা হলো, Grass is always greener on the other side of the fence. “বেড়ার ওপাশের ঘাস সবসময়ই বেশী সবুজ।” গরু বেড়ার বাইরে মাঠে ঘাস খায় আর মনে মনে ভাবে বেড়ার ভিতরের অংশের ঘাস বুঝি বেশী সবুজ আর বেশী মিষ্টি। সামান্য বাধা পেলে আমরা ভাবি বাধাটুকু না থাকলে আমরা বোধ হয় এক্ষুণি সফলতা লাভ করতে পারতাম। যে সুবিধাটুকু আমাদের হাতের নাগালে নেই মনে হয় যেন ঐ সুবিধাটুকু পেলে আমরা অনেক কিছু অর্জন করতে পারতাম। এ ধরনের মনোভাব রাখা ঠিক নয়। নাজনীন যেমন দুশ্চিন্তা ক্লিষ্ট হয়ে একমূহুর্তের জন্য ভেবেছে যে, সে যদি কোনো ছোট পরিবারে বাস করত তবে সে পড়াশুনায় ভাল করতে পারত। এ ধরনের চিন্তা মানুষের দূর্বল মূহুর্তের চিন্তা। এ ধরনের চিন্তাকে বলা হয় অজুহাত। এসব চিন্তাকে কেউ প্রশ্রয় দিলে তার জীবনে উন্নতি হওয়া কঠিন। যৌথ পরিবারে যেমন সমস্যা আছে, ছোট পরিবারেও তেমনি সমস্যা আছে। কাজেই শুধু পরিবারের ব্যাপারেই নয়, সব ব্যাপারেই আমাদেরকে অনিবার্য অসুবিধাটুকু মেনে নিয়েই পথ চলতে হবে। নিজের লক্ষ্যপানে অটল থাকতে হবে। তবেই না বড় কিছু অর্জন করা সম্ভব হবে।

 

Dear Mita Apa,

I read Nazneen’s letter published in your column on 5th January. I can understand Nazneen’s problems about living in a large family, but things are not always rosy in a small family either, as Nazneen seems to think. It appears the grass is always greener on the other side of the fence. From my experience, I know how awfully boring life can be in a nuclear family. I’m also a college student like Nazneen. I’ve a room of my own, and a lot of time to myself. But still I’m not happy. My parents are always busy with their work. My only brother goes to university in the morning and comes back late in the evening. Everybody is too tired to talk when they get back. Also, when at home they are busy with their own work. So the house is often much too quite. I can’t visit my friends even when I wish to, because it’s not safe for girls to move about alone in the city. I often feel very lonely and bored. I envy Nazneen. I whish I could live in an extended family like hers with grandparents, uncle, aunts, and cousins. I hope Nazneen realises that having a small family does not necessarily make one happy.

Zinnia
Rajaabazar, Dhaka

Comments

comments

About the author

ফিরোজ আহমেদ

আমি ফিরোজ আহমেদ। অবস্থান- বগুড়া শহর, বগুড়া, বাংলাদেশ। এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি তে সাইন্স ব্যাকগ্রাউন্ডসহ ইংরেজী সাহিত্যে অনার্সসহ মাস্টার্স করেছি। “এ্যাপ্লাইড ইংলিশ পয়েন্ট”- নামে ইংরেজী শিক্ষার প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। পাঠ্য সহায়ক পুস্তক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সাথে খন্ডকালীন লেখক হিসেবে জড়িত। সাহিত্য বিষয়ের সমালোচনামূলক পাঠপত্রের ভক্ত। সৃষ্টিশীল লেখালেখিতে আগ্রহী। বাংলাদেশের একাডেমিক পড়াশুনাতে মাল্টিমিডিয়া এবং আইটি সুবিধাদির ব্যাপক প্রসার হোক এটাই আমার একান্ত চাওয়া।

Leave a Reply