ক্যান্সার ন্যানোটেকনোলজি, লেকচার-৩
মূল পাতা I লেকচার – ২ I কোর্সের নিবন্ধন ফর্ম
আজকের লেকচারে থাকছেঃ
১. ন্যানোপার্টিকেলের প্রকারভেদ.
২. আইরন অক্সাইড ন্যানোপার্টিকেল সংশ্লেষণ.
ন্যানোপার্টিকেলের প্রকারভেদঃ
রাসায়নিক গঠনের উপর ভিত্তি করে ন্যানোপার্টিকেল দুই ভাগে বিভক্ত। ১. অজৈব ন্যানোপারটিকেল ২. জৈব ন্যানোপার্টিকেল।
১. অজৈব ন্যানোপার্টিকেল
যে সকল ন্যানোপার্টিকেল অজৈব অণু বা পরুমাণু দিয়ে গঠিত তাদের অজৈব ন্যানোপার্টিকেল বলা হয়। যেমনঃ আইরন অক্সাইড ন্যানোপার্টিকেল, গোল্ড ন্যানোপার্টিকেল, কোয়ান্টাম ডট ইত্যাদি।
২. জৈব ন্যানোপার্টিকেল
যে সকল ন্যানোপার্টিকেল জৈব অণু বা পদার্থ দিয়ে গঠিত তাদের জৈব ন্যানোপার্টিকেল বলা হয়। যেমনঃ পলিমার ন্যানোপার্টিকেল, মাইসেলি (Micelle) ন্যানোপার্টিকেল, লিপোসোম (Liposome) ন্যানোপার্টিকেল, ডেন্ড্রাইমার (Dendrimer) ন্যানোপার্টিকেল ইত্যাদি।
১. অজৈব ন্যানোপার্টিকেল
সাধারনত যে কোন অজৈব পদার্থ যেমনঃ কোবাল্ট (Co), লোহা (Fe), গোল্ড (Au), সিলভার (Ag), ক্যাডমিয়াম (Cd) ইত্যাদি দিয়ে গঠিত বা তৈরি যে কোন ন্যানো-সাইজের ন্যানোপার্টিকেল কেই অজৈব ন্যানোপার্টিকেল। বায়োমেডিকেল বা ক্যান্সার গবেষনায় বিভিন্ন ধরনের ন্যানোপার্টিকেল ব্যাবহার হলেও, আমরা মূলত নিচে উল্লেখিত তিনটি ন্যানোপার্টিকেল নিয়েই আলোচনা করবো;
ক) আইরন অক্সাইড ন্যানোপার্টিকেল (SPIONs)
খ) গোল্ড ন্যানোপার্টিকেল (Gold Nanoparticles)
গ) কোয়ান্টাম ডট ন্যানোপার্টিকেল (Quantum dots)
ক) আইরন অক্সাইড ন্যানোপার্টিকেল সংশ্লেষণ
আইরন অক্সাইড ন্যানোপারটিকেলকে সাধারনত সুপার প্যারাম্যাগ্নেটিক অইরন অক্সাইড ন্যানোপার্টিকেল বলে (Super Para-magnetic Iron Oxide Nanoparticles/SPIONs)। Para-magnetic বা উপচুম্বকীয় বৈশিষ্ট্যের কারনে বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ে SPIONs এম.আর.আই (MRI/Magnetic Resonance Imaging) contrast agent হিসাবে ব্যবহার হয়।
আইরনের বিভিন্ন উপাদান থেকে আইরন অক্সাইড ন্যানোপার্টিকেল সংশ্লেষণের বিভিন্ন পদ্ধতিগুলোর মাঝে সহজ একটি পদ্ধতি নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
বিক্রিয়ার তাপমাত্রা, pH, আয়নের শক্তি, বিক্রিয়কের প্রকৃতি এবং বিক্রিয়কের অনুপাতের উপর ভিত্তি করে পার্টিকেলের আকার-আকৃতির তারতম্য ঘঠে।