«

»

ফেব্রু. 11

HSC English Text Reading – Lecture 9

Unit-4 Lesson-1 Text Book page no- 45

[কোর্সের মূল পাতা | নিবন্ধনের লিংক]

লেকচার ভিডিও

ডাউনলোড করে নিতে পারেন .pdf এখান থেকে – [PDF]
কাহিনী সংক্ষেপ
চীনাদের মধ্যে পারিবারিক বন্ধন দৃঢ়। পার্কে একত্রে মিলে পরিচ্ছন্ন পারিবারিক বিনোদন করে থাকে চীনারা।  এক্রোবেটরা কসরত দেখায়। সন্ধ্যায় লোকজন টেলিভিশন দেখে সময় কাটায়। জাপানীজরা অবসর কাটায় খেলাধূলায়। স্কেট বোর্ডিং সেখানে জনপ্রিয় খেলা। শীতের দেশ কানাডায় অবকাশ যাপন দুই ধরনের। শীতকালে স্কী আর স্নো বোর্ডিং জনপ্রিয়। গ্রীস্মকালে লোকেরা লেকের ধারে মাছ ধরে, গলফ খেলে। আরও জনপ্রিয় অবসর যাপন হাইকিং, ক্যাম্পিং, বার্ড ওয়াচিং। জার্মানরা আগে খুব বেশী পরিশ্রম করত। বর্তমানে অবসর যাপন করার জন্য তাদের গবেষণা প্রতিষ্ঠান আছে। জার্মানরা ভ্রমণপ্রিয়। যদি বিশ্বজনীন কোনো অবসর যাপন থাকে তবে তা হচ্ছে টেলিভিশন দেখা।

লেকচার
দৃঢ় পারিবারিক বন্ধন সব এশীয় দেশেরই বৈশিষ্ট্য। এশীয় দেশ হিসেবে তো বটেই চীনারা ঐতিহ্যগতভাবেই পরিবারিক বন্ধনকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। সুস্থ্য পারিবারিক সম্পর্ক লালন করা তাদের জাতিগত বৈশিষ্ট্য। তারা পরিবারের সব সদস্য মিলে পার্কে বেড়াতে, একত্রে বসে গল্প করতে ও সাধারণ বিষয়ে আনন্দ খুঁজে নিতে পারে। চীনা সরকারও এ বিষয়ে সচেতন ফলে সরকারী-বেসরকারী উদ্দ্যোগে সেখানে অনেক পরিচ্ছন্ন, সুন্দর, আধুনিক পার্ক গড়ে উঠেছে। তাদের মধ্যে পারিবারিক বন্ধন এত সাবলীল যে তারা একত্রে বসে টি.ভি দেখে সময় কাটায় যা পৃথিবীর অনেক দেশে কল্পনাও করা যায়না। অবশ্য চীনারা রেডিও, টি.ভি, পত্র-পত্রিকা সহ অন্যান্য পাবলিক মিডিয়াকে এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করে যাতে সেখানে কোনো অসামাজিক, অপরিচ্ছন্ন ও কুরুচিপূর্ণ কোনোকিছু প্রবেশ করতে না পারে। এমনকি ইন্টারনেট যখন দেশে দেশে অবাধে প্রবেশ করেছে তখন চীনা সরকার প্রথম থেকেই ইন্টারনেটের উপর সেন্সরশীপ আরোপ করেছে। সেখানে ইন্টারনেটের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার চালু আছে। ফলে দেখা যাচ্ছে সুস্থ্য ধারার পারিবারিক বিনোদন চীনাদের বৈশিষ্ট্য।

জাপানীজরা কাজ পাগল জাতি। কাজই তাদের ধ্যান-জ্ঞান। কর্মীর পরিচয়ই জাপানীজদের জাতীয় পরিচয়। সকালের নাস্তায় ফাস্ট ফুড খেতে খেতে কাজের জায়গায় ছুটছে আর কাজ করতে করতে দুপুরের খাবার খাচ্ছে এমন দৃশ্য জাপানের অতিপরিচিত দৃশ্য। জাপানীজদের কাজের যেমন কোনো অভাব নেই, কাজ করতে তাদের কোনো ক্লান্তিও নেই। সূঁচ থেকে শুরু করে ঘড়ি, টেলিভিশন আর ঘরোয়া ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী তৈরীতে তাদের জুড়ি নেই। সারা বিশ্বে জাপানী ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রীর বাজার আছে। ফলে তারা খুবই কর্মব্যস্ত জাতি। অবসর খুবই কম। তারপরও সময় পেলে তারা শারীরিক কসরতমূলক খেলায় আনন্দ পায়। জুডো এবং কারাতে নামের যে মার্শাল আর্ট তারা চর্চা করে সেই কসরত দেখতে যেমন শৈল্পিক, শারীরিক ব্যায়াম হিসেবেও তা একেবারে ভিন্ন ধরনের। জুডো হচ্ছে একধরনের কুস্তি। আর কারাতে নামের যে শারীরিক কৌশল তা জাপানের নিজস্ব বিষয়। পৃথিবীর অন্য কোথাও এটা দেখা যায় না। এতে সাপের ছোঁ মারার গতিতে অঙ্গচালনা আর ঈগলের মত হালকা চালে শূন্যে ওঠা-নামা সবকিছু মিলিয়ে মানব শরীরের যে শক্তি, গতি আর ভারসাম্যের অপূর্ব প্রদর্শনী হয় তা যেন এক স্বর্গীয় ব্যাপার। এছাড়া চাকাওলা জুতা পরে স্কেট বোর্ডিং করা সেখানকার একটি সাধারণ অবসর আনন্দ।

শীতের দেশ কানাডায় আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যা কম। দেশের সম্পদ আছে প্রচূর। জনগণ যথেষ্ট আয় করে এবং কিছুটা রিল্যাক্স (ভাবনাহীন ঢিলেঢালা ) জীবন যাপন করতে পছন্দ করে। শীতকালে দেশের নদীনালা, মাঠঘাট সবই শক্ত বরফের নিচে ঢাকা পড়ে যায়। সে সময়ে লোকেরা বরফের উপর স্কী করতে, স্নো বোর্ডিং করতে পারে। একজোড়া লম্বা কাঠের টুকরা পায়ের নিচে বেঁধে, ভারসাম্য রক্ষার জন্য দু’হাতে দুটি লাঠি নিয়ে বরফে ঢাকা পাহাড়ের ঢাল বেয়ে দুঃসাহসিক পিছল খাওয়ার নাম স্কী করা। স্কী বলতে যে টুকরা কাঠ বুঝায় তা কিন্তু যেনতেন কাঠ নয়। উন্নতমানের দামী কাঠ ইন্ডাষ্ট্রীতে ফিনিসিং করে, মোম ঘষে পিচ্ছিল করে যেভাবে তা তৈরী করা হয় তা রীতিমত এক অভিজাত শিল্প। দামী একজোড়া স্কী থাকা সেখানে আভিজাত্যের পরিচয়। আর স্নো বোর্ডিং স্কেট বোর্ডিংয়ের মতই ব্যাপার। সমতল জায়গায় বরফের উপর বিশেষ ধরনের জুতা পায়ে পরে পা ঠেলে ঠেলে শারীরিক কসরত করার নাম স্নো বোর্ডিং। গ্রীস্মকালে যখন বরফ গলে যায়। মাঠ-ঘাট যখন জেগে ওঠে তখন তা গলফ খেলার উপযুক্ত হয়ে উঠে।
তাছাড়া সেখানে হাইকিং, ক্যাম্পিং, বার্ড ওয়াচিং জনপ্রিয়। হাইকিং বলতে দল বেঁধে পাহাড় কিম্বা গ্রামের রাস্তায় অনেকদূর পর্যন্ত হাঁটাকে বুঝায়। হাঁটতে হাঁটতে পাহাড়, প্রকৃতি আর গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা দেখে অনাবিল আনন্দ লাভ হয়। ক্যাম্পিং বলতে সাধারণতঃ পরিবারের সদস্যরা মিলে ঘরবাড়ী ছেড়ে বন-বনানী আর গাছগাছালীর সারির মধ্যে ক্যাম্প বা তাঁবু খাটিয়ে তার মধ্যে কয়েকদিন বসবাস করাকে বুঝায়। এভাবে প্রকৃতির নিগূঢ় সান্নিধ্যে কয়েকদিন কাটিয়ে ক্যাম্পিং শেষে যখন ফিরে আসে তখন যেন তাদের মনটা সব ক্লান্তি আর কালিমা ঝেড়ে ফেলে প্রকৃতির মতই সতেজ, উদার আর প্রাণপূর্ণ হয়ে উঠে।

বার্ড ওয়াচিং বা পাখী পর্যবেক্ষণ কানাডার এক সৌখিন অভিজাত অবসর যাপন। শীতের সময় যখন প্রচন্ড শীত পড়ে, যখন পাখীদের খাদ্য মাছ ও পোকামাকড় শক্ত বরফের নিচে ঢাকা পড়ে যায় তখন কানাডা থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখিরা একটু খাদ্য ও উষ্ণতার আশায় অন্য কোনো দেশে অতিথি পাখি হিসেবে মাইগ্রেট করে চলে যায়। তারপর গ্রীস্মের শুরুতে আবার ঝাঁকে ঝাঁকে পাখিরা কানাডাতে ফিরে আসতে শুরু করে। পাখিদের দলবেঁধে এই আসা যাওয়া পর্যবেক্ষণ করা কানাডীয়ানদের প্রিয় শখ। পাখি পর্যবেক্ষণ ব্যাপারটি যেন সত্যিকারের ভাবনাহীন জীবনের অভিজাত শখের ব্যাপার। সারাদিনের জন্য খাবার দাবার সঙ্গে নিয়ে ও আরাম করে শুয়ে বসে পাখি পর্যবেক্ষণের সরঞ্জামাদি (দামী দূরবীক্ষণযন্ত্র ইত্যাদি) সাথে নিয়ে কোনো মাঠে বা প্রান্তরে গিয়ে উষ্ণ রোদে হাত-পা ছড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা দূরবীক্ষণ যন্ত্রে চোখ লাগিয়ে পাখির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করার শখটি যেন শুধু কানাডার মত ধনী দেশের লোকদের জন্যই শোভা পায় যাদের আছে নিশ্চিন্ত নিরাপদ জীবন ও অখন্ড অবসর।

জার্মানরা অবসর যাপনকে খুব গুরুত্বের সাথে নিয়ে থাকে। অবসর যাপনের মাধ্যমেও তারা সৃষ্টিমূলক কিছু করতে চায়। তারা অবসর যাপনকে এত গুরুত্ব দেয় যে সৃষ্টিমূলক অবসর যাপন কি করে করা যায় সে বিষয়ে গবেষণার জন্য তাদের জাতীয় প্রতিষ্ঠান আছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভুল সিদ্ধান্তের কারণে জার্মান জাতি বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য জার্মানরা আগে সপ্তাহে ৬ দিন ১০ ঘন্টা করে কাজ করত কিন্তু বর্তমানে তারা কাজের ঘন্টা কমিয়ে সপ্তাহে ৫ দিন কাজ করে। হাতে যথেস্ট অবসর থাকে। বিদেশ ভ্রমণ তাদের প্রিয় শখ।

দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন দেশের মানুষের অবসর যাপনের পদ্ধতি বিভিন্ন রকম। অবসর যাপনের উপায় উপকরণ নির্ভর করে সে দেশের ভূ-প্রকৃতি, আবহাওয়া ও দেশের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ইত্যাদির উপর। তবে দেশে দেশে অবসর যাপনে যতই ভিন্নতা থাক অবসর যাপনের একটি বিষয়ে সব দেশেই মিল আছে তা হলো টি.ভি দেখা। টি.ভি দেখা যেন অবসর যাপনের একটি বিশ্বজনীন রূপ।

Main Text:
The Chinese put a lot of emphasis on the unity of the family. In the cities, the parks are often crowded with families spending their time together. There are lots of nice, clean parks for people to spend their time in. Sometimes musicians and acrobats perform in the open air to entertain people who are present there. In the evening many families spend their free time watching television.
The Japanese love to take part in sports in their free time. Baseball, golf and martial arts such as judo and karate are especially popular with men. Most students do not have much free time but during their holidays they join English clubs or art clubs. They also love skate boarding which involves riding on a flat piece of wood that has wheels under it. A lot of practice is needed to keep your balance of the board as it moves.
In Canada recreational activities can be divided into two types- summer and winter activities. Canada is a very cold country with snow everywhere in winter. Skiing is therefore a popular sport at that time and involves going down mountain slopes on a pair of skis. Snow boarding, which is very much like skateboarding, is also a favourite sport. The only difference between the two is that snow boarding is done on snow while skate boarding is down on concrete. In summer people love to go fishing, boating or swimming in places where there are large lakes or sea beaches. In other place, golf and tennis are quite popular. Many people also go hunting, hiking, camping or bird-watching. Hiking involves going for very long walks in the mountains or in the countryside. For camping people go, sometimes with their families, to spend a few days in the mountains or open spaces away form the city. Camping sites usually provide facilities for food, sanitation and emergency medical services.
For the Germans leisure has become a major pursuit. Formerly, Germans used to work ten hours a day and six days a week and had very little time to relax. But in modern times working hours in Germany have become shorter stretching over five days. People therefore have more time to spare now. They are so interested in spending their free time effectively that there is even a German Leisure Association that conducts research on leisure activities. The Germans love to travel and almost half of all adults in Germany have made a trip outside the country just for pleasure and relaxation. There are also many sports centers where young people go for physical exercise. Going to dance clubs or for long drives is other popular pastime. Hiking, walking or visiting family and friends are also one of the more common leisure activities there.
However, whatever the country, one activity that is common to all is- watching television!

Comments

comments

About the author

ফিরোজ আহমেদ

আমি ফিরোজ আহমেদ। অবস্থান- বগুড়া শহর, বগুড়া, বাংলাদেশ। এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি তে সাইন্স ব্যাকগ্রাউন্ডসহ ইংরেজী সাহিত্যে অনার্সসহ মাস্টার্স করেছি। “এ্যাপ্লাইড ইংলিশ পয়েন্ট”- নামে ইংরেজী শিক্ষার প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। পাঠ্য সহায়ক পুস্তক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সাথে খন্ডকালীন লেখক হিসেবে জড়িত। সাহিত্য বিষয়ের সমালোচনামূলক পাঠপত্রের ভক্ত। সৃষ্টিশীল লেখালেখিতে আগ্রহী। বাংলাদেশের একাডেমিক পড়াশুনাতে মাল্টিমিডিয়া এবং আইটি সুবিধাদির ব্যাপক প্রসার হোক এটাই আমার একান্ত চাওয়া।

Leave a Reply