«

»

ফেব্রু. 16

HSC English Text Reading – Lecture 10

Unit-4 Lesson-2 Text Book page no- 49

[কোর্সের মূল পাতা | নিবন্ধনের লিংক]

লেকচার ভিডিও

ডাউনলোড করে নিতে পারেন .pdf এখান থেকে – [PDF]

বিষয়বস্তু
কাটা বা জোড়া দেয়া ছাড়া শুধুমাত্র ভাঁজের মাধ্যমে কাগজ দিয়ে বিভিন্ন আকৃতির জিনিষ তৈরীর নাম ওরিগ্যামি। প্রাচ্যদেশে (চীন, জাপান, ভারত উপমহাদেশ) এটার উৎসভূমি বলে মনে করা হয়। শিল্পনৈপুণ্য হিসেবে জাপানে এটা প্রথম রূপ লাভ করে। এতে মাছ, পশুপাখি সহ বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন জ্যামিতিক আকৃতি তৈরী করা হয়। জার্মানীতে প্রথম চালু হয় কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলিতে। তারপর ১৯৩০ সালের দিকে এটা স্পেন, আমেরিকা ও ইংল্যান্ডে ছড়ায়।

লেকচার
শৈশবকালে মনের খেয়ালে আর বয়সকালে বাচ্চাদের আবদার মেটাতে কাগজের নৌকা বানিয়ে পানিতে ভাসিয়ে দেন নি এমন মানুষ খুব কমই আছে। এক তা কাগজকে কাটা বা জোড়া দেয়া ছাড়াই শুধুমাত্র ভাঁজ করার কৌশলে একটা নৌকা বা এরোপ্লেনের আকার দেয়ার এই যে পদ্ধতি এটাই ওরিগ্যামি।

ওরিগ্যামি আমাদের প্রাচ্যদেশে বহুদিন থেকেই বিচ্ছিন্নভাবে চর্চা হয়ে আসছিল। কিন্তু জাপানে এটা প্রথম একটা শিল্প হিসেবে রূপ লাভ করে। এর কারণ হিসেবে বলা যায় সবধরনের কাগজের তৈরী জিনিষ বা কাঠামোর ব্যাপারে জাপানীরা সবসময়ই প্রচন্ড আগ্রহশীল ছিল। ভূমিকম্পের দেশ জাপানে যখন তখন ছোট খাট ভূমিকম্প লেগেই আছে। ফলে সেখানে ইঁট বা কংক্রীটের তৈরী ঘরবাড়ী কমই দেখা যায়। সেখানে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য মোটা কাগজের ঘর তৈরী করা হয়। সেখানে বিভিন্ন ধরনের কাগজ যেমন তৈরী হয় তেমনি জাপানীজরা কাগজের বহুবিচিত্র ব্যবহারও করতে জানে। মোটা কাগজকে কৌশলে ভাঁজ করে যথেষ্ট শক্ত ঘরবাড়ী বানাতে পারে। ভূমিকম্পে তা যদি ভেঙ্গেও পড়ে তবে ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়। এভাবে কাগজ নিয়ে নাড়াচাড়া, গবেষণা আর কৌশল খাটানো জাপানীজদের ঐতিহ্যগত ব্যাপার। তাই বোধ হয় ওরিগ্যামি জাপানে এসেই তার আসল ঠিকানা খুঁজে পায়।

জাপানীজদের হাতে পড়েই ওরিগ্যামি সৌখিন শিল্পের রূপ পায়। ওরিগ্যামির দ্বারা তৈরী নৌকা, এরোপ্লেন কিংম্বা শাপলা ফুল বানাতে আমরা অনেকেই পারি। এর বাইরেও অনেকে মাছ, পাখি, প্রাণী এগুলোও বানাতে পারে। কতগুলি ওরিগ্যামি আবার নড়াচড়া করানো যায়। যেমন অনেকে এমন কাগজের পাখি বানাতে পারে যার লেজ ধরে টানলে পাখা দু’টি নড়ে। পাশ্চাত্যে ওরিগ্যামি প্রথম চালু হয় জার্মানীতে। কিন্ডারগার্টেন স্কুলের উদ্ভাবক ফ্রেডারিখ ফ্রয়েবল প্রথম এটা প্লে-শ্রেণীর শিশুদের জন্য শিক্ষা উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করেন। সেখানে ওরিগ্যামির মাধ্যমে প্লে-শ্রেণীর শিশুদেরকে লেখাপড়া শেখানো হতে থাকে। ১৯৩০ সালের দিকে এটা স্পেন, আমেরিকা ও ইংল্যান্ড সহ পাশ্চাত্যে ছড়িয়ে পড়ে।

Main Text:
The craft of folding paper to give them different shapes without any cutting or pasting is called Oregami. Although not much is known about its origin, Oregami has been practised in the Orient for centuries. In fact it has taken the form of sophisticated art in Japan where it is specially prized for decorating and for ceremonies. As a form of decorative plaything, Oregami takes the form of birds, fish, insects, animals and geometrical figures, sometimes with flexible parts to imitate the movement of real life objects. In the west it was introduced first in Germany by Friedrich Frobel (1782-1852) as an art form to be used in German Kindergarten schools by children during the nineteenth century. During the 1930’s and interest in paper folding developed in Spain and Shout America as well as in United States and England as a recreational pastime. It also gained popularity as a form of geometrical construction.

Comments

comments

About the author

ফিরোজ আহমেদ

আমি ফিরোজ আহমেদ। অবস্থান- বগুড়া শহর, বগুড়া, বাংলাদেশ। এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি তে সাইন্স ব্যাকগ্রাউন্ডসহ ইংরেজী সাহিত্যে অনার্সসহ মাস্টার্স করেছি। “এ্যাপ্লাইড ইংলিশ পয়েন্ট”- নামে ইংরেজী শিক্ষার প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। পাঠ্য সহায়ক পুস্তক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সাথে খন্ডকালীন লেখক হিসেবে জড়িত। সাহিত্য বিষয়ের সমালোচনামূলক পাঠপত্রের ভক্ত। সৃষ্টিশীল লেখালেখিতে আগ্রহী। বাংলাদেশের একাডেমিক পড়াশুনাতে মাল্টিমিডিয়া এবং আইটি সুবিধাদির ব্যাপক প্রসার হোক এটাই আমার একান্ত চাওয়া।

Leave a Reply