লিপোসোম ন্যানোপারটিকেলঃ
লিপোসম সাধারণত দুটি লিপিডের আবরণ দিয়ে বানানো হয়। যাকে বলে লিপিড লিপিড বাইলেয়ার (lipd-lipid bilayer). লিপোসমের এই বৈশিষ্টের কারনেই ড্রাগ ডেলিভাররীলর জন্য লিপোসোম ন্যানোপারটিকেল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
কিভাবে লিপোসোম ডিজাইন করা হয়ঃ সাধারণত লিপোসম ন্যানোপারটিকেল ডিজাইন এবং ডেভেলপ করার জন্য দুটি ভিন্ন বা সমগোত্রীয় হাইড্রোফিলিক পলিমার দরকার হয় (বাহিরের আবরণ এবং কোরের আবরণ)। সেই পলিমারগুলোর সাথে লিপিড আগে থেকে যুক্ত করাতে হবে (রাসায়নিক বন্ধনে বা চার্জ- চার্জ আকর্ষণ / পজিটিভ-নেগেটিভ চার্জের আকর্ষণ)। (লাইপোসোম ডিজাইন এবং প্রস্তুন করন প্রনালী নিয়ে কারো বিশদ জানার/আলোচনা আগ্রহ থাকলে ব্যক্তিগত ভাবে যোগাযোগ করতে পারেন)।
ন্যানোমেডিসিনে লাইপোসোমের ব্যবহার কেনো গুরুত্বপূর্ণ?
শরীরের বাহির থেকে যে কোন বস্তু শরীরের প্রবেশ করানো হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ (Defense mechanism)প্রণালির কারনে এক ধরনের প্রতিরোধ গড়ে তোলে। যে কারনে আমরা অনেক সময় ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়াতে সহজেই আক্রান্ত হয় না। ঔষুধের ক্ষেত্রেও একি অবস্থা। ইঞ্জেকশন বা মুখে কোন ঔষুধ শরীরে প্রবেশ ক রানো হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ প্রক্রিয়ায় জড়িত সিস্টেমগুলো সেই ঔষুধগুলোকেও শরীরের জন্য ক্ষতিকর মনে করে। যার ফলে ঔষুধ কোষে প্রবেশ করে কাজ শুরুর আগেই অনেকে আহত হয়ে পরে কেউ কেউ নিহত হয়। খুব কম পরিমাণ ঔষুধ কোষে প্রবেশ করে যার ফলে চাহিদার/ প্রয়োজনের তুলনার অনেক কম ফল পাওয়া যায়।
কিন্তু, লিপোসোমের চেহারা, আবরণ, কাঠামো কোষের মত, যে কারনে Defense mechanism লিপোসোমকে কোষ থেকে আলাদা করতে পারে, ফলে তাদের আক্রমণ করে না। ফাইনালি আধিকাংশ লিপোসোম কোষের ভিতরে প্রবেশ করতে পারে এবং পরিশেষে চাহিদামত ফল পাওয়া যায়।
কোষঃ কোষ হচ্ছে কোন জৈবিক বস্তুর (প্রানি এবং উদ্ভিদ) সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম গাঠনিক একক। অনেকগুলো কোষের সমন্বয়ে টিস্যু এবং টিস্যুর সমন্বয়ে অংগ গঠিত হয়। প্রানের বিশিষ্টের উপর ভিত্তি করে প্রাণী বা উদ্ভিদ কোষে ভাগ হয়। আবার কোষের গাঠনিক এবং বিভাজন বৈশিষ্টের উপর ভিত্তি করে অনেক বিভাগ-উপবিভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে।
প্রাণী কোষের মেমব্রেন বা আবরণ দুটি লেয়ার দিয়ে গঠিত যাকে বলে লিপিড-লিপিড বাইলেয়ার বা দুটি লিপিড লেয়ারে প্রাণী কোষের আবরণ গঠিত।
বিজ্ঞানে, বিশেষ করে রসায়ন বিজ্ঞানে একটি কথা বহুল ভাবেই ব্যবহার হয়ে থাকেঃ “Same dissolve same” বা সমগোত্রীয় বস্তু তার সমগোত্রীয় বস্তুর সাথে মিশে যায় বা দ্রবণীয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, সরিষার তেলের সাথে সয়াবিন তেল মিশে যায়, পানিতে চিনি দ্রবণীয়।
লিপোসোমের বাহিরের আবরণ কোষের বাহিরের আবরণের মত হবার কারনে লিপোসম ন্যানোপারটিকেল মাইসেলি এবং পলিমার ন্যানোপারটিকেল চেয়ে তুলনামূলক অনেকটা সহজেই কোষের ভিতরে প্রবেশ করতে পারে।