প্রশ্ন: পরিবেশ বলতে কি বুঝায়? সামাজ বিজ্ঞানীদের মতে পরিবেশের সংজ্ঞা কি? পরিবেশ কয় প্রকার ও কি কি? উদাহরণসহ বিস্তারিত আলোচনা করো?
উত্তর: আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে, তাই নিয়ে আমাদের পরিবেশ। মাটি, পানি, গাছপালা, রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, ফেইসবুক ইত্যাদি পরিবেশের উপাদান।
আধুনিক সমাজ বিজ্ঞানী মার্ক জুকারবার্গ বলেন, “মিউচুয়াল ফ্রেন্ড, লাইক আর কমেন্ট দিয়ে ছোট্টু করে ফেলি আপনার পরিবেশ। পরবর্তীতে বুদ্ধিতে ঘাটতি অনুভূত হলে বকা দিবেন না, প্লিজ।”
পরিবেশ দুই প্রকার
১-সত্যি সত্যি সামাজিক পরিবেশ
২- ঝুটা পরিবেশ
সত্যি সত্যি সামাজিক পরিবেশ:
সত্যি সত্যি সামাজিক পরিবেশে আপনি বেসিক ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্টের সার্টিফিকেট অর্জন করতে পারেন। এই সার্টিফিকেট দেয়া হবে শিক্ষক ডট কম ও ঝংকার মাহবুবের পক্ষ থেকে। “আমরাই পারি” প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে সার্টিফিকেটের পাশাপাশি আপনি আকর্ষনীয় পুরস্কারও জিতে নিতে পারেন। তার জন্য, আপনাকে-
১-৩ পাতার একটা ওয়েবসাইট বানাতে হবে, একা বা সর্বোচ্চ ৫ বন্ধুদের মিলে
ওয়েবসাইট বানাতে হবে সাধারণ মানুষের কোনো ছোটখাটো সমস্যা ও তার সমাধানের উপর
প্রতিযোগীতায় নিবন্ধন করার শেষ সময়: ১৫ এপ্রিল, ২০১৩ বাংলাদেশ সময় ভোর ৪.৫৯ মিনিট
“আমরাই পারি” প্রতিযোগীতার পুরস্কার স্পন্সর করছেন: Xeon Software Limited . উনাদের এগিয়ে আসার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ
ঝুটা পরিবেশ:
কম্পিউটার বা ইন্টারনেট হচ্ছে ঝুটা পরিবেশ (এইবার লেখককে বকা দিবেন না, প্লিজ), সারাদিন তাতে মজে থাকলে আপনি নিজেও সেই পরিবেশের উপাদান। আর আপনার বেশিরভাগ সময় কাটে ইন্টারনেট ব্রাউজারে। ব্রাউজারের যে জায়গাটাতে আপনি কোনো ওয়েবসাইটের নাম/ ঠিকানা লিখেন ( “www.google.com”), তাকে বলে “Address bar”. সেখানে ওয়েবসাইটের নামের আগে “https” যোগ করা হয়। https মানে (hypertext transfer protocol secure) যা নিশ্চিত করে আপনাকে পাঠানো ওয়েবসাইট অন্য কেউ দেখতে পারে না। আর পুরো জিনিসটাকে বলে URL (Uniform/Universal Resource Locator). ওয়েবসাইটের এড্রেস/ ঠিকানা স্বতন্ত্র হতে হয় (অর্থাৎ www.google.com নামে সারা দুনিয়াতে একাধিক ওয়েবসাইট থাকতে পারবে না)
পরিবেশের গন্ডি ছাড়িয়ে সারা দুনিয়ার মানুষকে আপনার ওয়েবসাইট দেখাইতে হলে। আপনাকে একটা ওয়েবসাইটের এড্রেস (ডোমেইন) কিনতে হবে এবং ওয়েবসাইটটি কোনো একটা সার্ভারে (হোস্টিং) রাখতে হবে। কোনো সার্ভারে ওয়েবসাইট না রাখলে কেউ তা খুজলেও দেখতে পাবে না। সাধারনত ১ বা ৩ বছরের জন্য ডোমেইন ও হোস্টিং সার্ভিস কেনা হয়।
প্রথমে দেখতে হবে আপনি যে নামের ওয়েবসাইট তৈরী করতে চান তা আছে কিনা। যদি অন্য কেউ সেই নামটা কিনে নেয় তাহলে আপনি সেই নামটা পাবেন না। অনেকটা মোবাইলে সিমের মত। যেমন, আপনার বন্ধুর ফোন নম্বরটি কিন্তু আপনি কিনতে পারবেন না। আপনাকে অন্য আরেকটি নম্বর কিনতে হবে। আপনি চাইলে বন্ধুর কাছ থেকে ঐ সিমটি এনে ব্যবহার করতে পারেন।
দেশে ও বিদেশে ডোমেইন ও হোস্টিং সেবা প্রদানকারী প্রচুর প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তারা ওয়েবসাইট সার্ভারে আপলোড করার একটা উপায়ও বলে দিবে (সাধারনত: cpanel). বাংলাদেশে Xeon Software Limited
এই রকম সেবা প্রদান করে থাকেন।
পরিশেষে, পরিবেশের অন্যতম উপাদান মনুষ্য প্রজাতিকে শুধু পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করলেই চলবে না, তাকে উন্নত করার পাশাপাশি নিশ্চিন্ত নিরাপদও করতে হবে।
শেষ কথা নিজে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করুন এবং বন্ধুদের উতসাহিত করুন আপনার কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে নিচে কমেন্ট করুন
আমি ঝংকার মাহবুব (jhankar.mahbub@gmail.com)। আমি BUET থেকে ২০০৭ এ পাশ করার পর নিজস্ব ফার্মে কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করেছি। ২০১২ সালে আমি নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এ মাস্টার্স ডিগ্রী শেষ করে বর্তমানে শিকাগো শহরে nielsen এ ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে কাজ করছি। আর পছন্দ করি ওয়েবসাইট বানাতে।