«

»

জানু. 19

টেকনিকাল রিপোর্ট রাইটিং – লেকচার ৭ – মেমোরেন্ডাম

 মেমোরেন্ডাম বা মেমো

মেমোরেন্ডাম বা মেমো (Memorandum or Memo) হলো এক ধরনের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ নোট বা ডকুমেন্ট যা সাধারণত লেখা হয় কোন প্রতিষ্ঠানে নির্দিস্ট কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের (গ্রুপ) প্রতি অগোপনীয় বিষয়কে অবহিত করার জন্যে যেখানে থাকতে পারে কোন বিষয়ে ঘোষনা, আলোচনাপ্রণালী, এগ্রিমেন্ট, প্রাতিষ্ঠানিক একটিভিটি বা কোন কর্মীর তথ্য এবং এটি রেকর্ড হিসেবে থাকে। উল্লেখ্য যে, অতি কথন, অপ্রাসঙ্গিক কথন, কুশল-বিনিময়, শব্দভান্ডার প্রদর্শনের বাহাদুরী ইত্যাদি মেমোর মূল উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করতে পারে।
A memorandum is not written to inform the reader but to protect the writer. (Dean Acheson)
মেমো লেখার সময় মনে রাখা দরকারঃ
  1. আপনার মেমোর উদ্দেশ্য কি?
  2. কার প্রতি মেমো লেখা হবে? পাশাপাশি কে কে অনুলিপি পেতে পারেন?
  3. কি কি বিবরন দরকার? (ডিটেইলস কে নাম্বারিং করে সাজাতে পারেন)
  4. কিভাবে উপস্থাপন করা উচিত?
  5. কনটেন্ট, গঠন এবং উপস্থাপনের দিকে বিশেষ নজর দিন।
# মেমো মাত্র দুই/এক লাইনেরও হতে পারে, আবার বহু পৃষ্ঠার হতে পারে।
# মেমোরেন্ডামের মূল অংশগুলোঃ
১. হেডিং (Heading)
তারিখঃ জানুয়ারী ২০, ২০১৩
বরাবরঃ যার কাছে লেখা হবে তার নাম
লেখকঃ যিনি লিখছেন তার নাম ও স্বাক্ষর
বিষয়ঃ যথাযথভাবে বিষয় লিখুন
২. তথ্য (Message)
একটা মেমোতে বিভিন্ন সম্পর্কহীন বিষয়ের অবতারনা কাম্য নয়। তবে, প্রয়োজনে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত একাধিক বিষয়কে একই মেমোতে উল্লেখ করা যেতে পারে।
ফরম্যাট
উদাহরণ
বাংলা উদাহরণ

Comments

comments

About the author

বিলাস আহমেদ খাঁন

আমি খুব মাঝারি গোছের মানুষ। স্কুল-কলেজে কোনদিন ফার্স্ট হইনি, ফেলও করিনি। আমার মেধা কম, কিন্তু হতাশাবাদী নই। আমি বিশ্বাস করি, স্বপ্ন এবং চেষ্টা খুব কম মেধার মানুষকেও অনেক দূর নিয়ে যেতে পারে। আমি জানি, আমাদের দেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই আমার মতো যারা ক্লাসরুমে পেছনের বেঞ্চে বসেই স্বস্তি পায়, অধিকাংশ শিক্ষকই তাদের নাম মনে রাখতে পারেন না। কোন দরকারে শিক্ষকদের কাছে গেলে শুনতে হয় "তুমি আমাদের ছাত্র? কোনদিন তো দেখিনি!" আমি ওইসব শিক্ষার্থীদেরকে বলতে চাই "হতাশ হয়ো না। দুনিয়াতে খুব বেশি মানুষ প্রকৃতির উপহার নিয়ে মেধাবী হয় না। বেশির ভাগ মানুষই তোমার-আমার মতো। অল্প মেধা নিয়েও সততা, ধৈর্য্য, চেষ্টা আর স্বপ্ন দিয়ে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়া যায়।"

পরিচিতিঃ আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত কলেজ অব টেক্সটেইল ইঞ্জিনিয়ারিং (বর্তমানে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে বি এস সি করেছি, এরপর দক্ষিন কোরিয়ার ইনহা বিশ্ববিদ্যালয়ে জিওসিনথেটিক্স নিয়ে গবেষণার চেষ্টা করেছি। ইনহা থেকে মাস্টার্স ও পি এইচ ডি-শেষ করেছি। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন কুইন্সল্যান্ডে বসে কম্পোজিট ম্যাটেরিয়াল সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছি।

Leave a Reply