১. আপনার ব্যাক্তিগত তথ্য (নাম, ঠিকানা, ই-মেইল এড্রেস, টেলিফোন নম্বর)। ব্যাক্তিগত তথ্য সবসময় প্রথম পৃষ্ঠার উপরে থাকবে। ই-মেইল এড্রেস বিষয়ে একটা ব্যাপার যোগ করতে চাই, তাহলো অফিসিয়াল রিপোর্টে আপত্তিকর বা হাস্যকর ই-মেইল আইডি ব্যাবহার করবেন না। কভার লেটারে তারিখ লিখতে হয় কিন্তু রেজুমিতে দিতে হয়না।
২. আপনার উদ্দেশ্য (চাকুরীর বিজ্ঞাপন দেখে নিজেরমত লিখে নিতে পারেন)।
৩. শিক্ষাগত যোগ্যতা।
৪. প্রাসঙ্গিক কাজের অভিজ্ঞতা (কাজের ইতিহাস নয়)
৫. টেকনিকাল স্কিল (কম্পিউটার স্কিল, বিশেষ মেশিন অপারেটিং ইত্যাদি)।
৬. ইন্টার্নশীপ (যদি করে থাকেন)
৭. পাবলিকেশন (যদি কোন প্রাসঙ্গিক ও মোলিক প্রকাশনা থাকে)
৮. বৃত্তি বা পুরস্কার(যদি পেয়ে থাকেন)
৯. ভাষার দক্ষতা
১০. আগ্রহ ও শখ (রেজুমিতে এর প্রয়োজনীয়তা নেই বললেই চলে)
১১. রেফারেন্স (অপ্রয়োজনীয়)
I উদ্দেশ্যঃ কোন ধরনের জব প্রত্যাশা করেন তাই এক বা দুটি বাক্যে লিখবেন। (অপশনাল).
II ব্যাক্তিত্ত্ব ও যোগ্যতার বিবরনঃ এই ব্যাপারটা অপশনাল। ইচ্ছে হলে বাদ দিতে পারেন। যদি কারো বিশেষ কোন গুণ, দক্ষতা বা ইতিবাচক বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকে যা আবেদনকৃত চাকুরিতে অবদান রাখার মতো, সেটা লিখতে পারেন। আসলে নতুন গ্রাজুয়েট যাদের রেজুমি একপৃষ্ঠা ভরে লিখতেই খবর হয়ে যায়, তারা এই অপশনটা যোগ করতে পারেন। ধরা যাক, আপনি কোন প্রতিষ্ঠানে মার্কেটিং সেকশনে কাজ করতে চান এবং আপনার ভাল কমিউনিকেশন স্কিল আছে, ভাল টিম-ওয়ার্ক স্পিরিট আছে ইত্যাদি, সেটাই লিখবেন। তবে, অহেতুক কথা না লেখাই ভাল। প্রয়োজনে বাদ দিন।
III. শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ উল্টো ক্রমানুযায়ী লিখবেন। মানে বড় থেকে ছোট। মাস্টার্স আগে, ব্যাচেলর পরে। এই ক্রমটাই বেশি চলে।
Master of Science in Major, University Name, City, Country, Month Year, GPA: 3.9 out of 4.0
Øআপনার স্পেলাইজেশন উল্লেখ করুন। এক বা দুই বাক্যে।
Øরিসার্চ প্রজেক্ট/ থিসিসের শিরোনাম উল্লেখ করুন।
Bachelor of Science in Major, University Name, City, Country, Month Year, GPA: 3.9 out of 4.0
Øমাইনর বিষয় (যদি থাকে)উল্লেখ করুন।
Øরিসার্চ প্রজেক্ট/ থিসিসের শিরোনাম (যদি থাকে) উল্লেখ করুন।
Øবিশেষায়িত বিষয়গুলো উল্লেখ করুন।
*ডিগ্রীর সিজিপিএ/রেজাল্ট দূর্দান্ত না হলে উল্লেখ না করাই ভাল।
*সাধারণত, প্রযোজ্যক্ষেত্র ছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের কথা উল্লেখ করা হয়না।
IV. ইন্টার্নশীপঃ কোন প্রতিষ্ঠানে (লোকেশন সহ) এবং কতদিন (সময়কাল) কাজ করেছেন। বিশেষ প্রশিক্ষন থাকলে তা উল্লেখ করতে পারেন।
V. বৃত্তিপ্রাপ্তি/পুরস্কারঃ যদি থাকে যোগ করুন। বৃত্তি বা পুরস্কারের নাম (কবে, কেন সহ)। কিন্ডারগার্টেনে পড়াকালে টিউটোরিয়ালে প্রথম হয়ে যে দুটো চকলেট পেয়েছিলেন সেটা গোপন করুন।
VI. প্রাসঙ্গিক কাজের অভিজ্ঞতাঃ প্রাসঙ্গিক কাজের অভিজ্ঞতা (পার্ট-টাইম বা ফুল-টাইম, স্বেচ্ছাসেবা) উল্লেখ করুন। কোথায় (অবস্থান), কোন পদে এবং কতদিন কাজ করেছেন। সদ্য পাশ করা আবেদনকারীদের অভিজ্ঞতা কম থাকায় সাধারণত শিক্ষাগত যোগ্যতা আগে দিয়ে থাকে, কাজের অভিজ্ঞতা তারপর দিয়ে থাকে।
VII. প্রকাশনাঃ যদি কোন প্রাসঙ্গিক ও মোলিক প্রকাশনা থাকে। অপ্রাসঙ্গিক হলে বাদ দিন।
VIII. বিশেষস্কিল এবং সার্টিফিকেশনঃ যদি কোন টেকনিকাল স্কিল, কম্পিউটার স্কিল, প্রোগ্রামিং বা সার্টিফিকেশন থাকে, সেগুলো উল্লেখ করুন। এই ধরনের স্কিল অথবা সার্টিফিকেশন বহু ক্ষেত্রে একই সিজিপিএ পাওয়া আপনার ক্লাসমেটের থেকে আপনাকে আলাদা করে দিতে পারে।
IX. ভাষার দক্ষতাঃ আপনার ভাষার দক্ষতা(দক্ষতার স্তরসহ) লিখুন। কিছু বাংলাদেশি এই জায়গাটাতে হিন্দি বা উর্দুর কথাও লিখে, আমি ব্যাক্তিগতভাবে এটা অপছন্দ করি ।
X. পেশাদারী সদস্যপদঃ উল্লেখ করুন যদি প্রাসঙ্গিক হয়। এই ব্যাপারটাকে আমাদের দেশে খুব একটা উৎসাহ না দিলেও প্রফেশনাল মেম্বারশীপের গুরুত্ত্ব আছে। কারন, অনেক পেশাদারী সংগঠনগুলো নিয়মিত বিভিন্ন ওয়ার্কশপ, সেমিনার, কনফারেন্স ইত্যাদি আয়োজন করে এবং তরুনদের প্রশিক্ষন ও উৎসাহ দিয়ে থাকে যা তাদের পেশাদারিত্ব বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। অবশ্য, প্রাসঙ্গিক না হলে বর্জনীয়।
XI. ব্যক্তিগত শখ বা ইচ্ছাঃ তিন/চারটি উল্লেখ করতে পারেন (অপশনাল)। রেজুমিতে এর প্রয়োজনীয়তা নেই বললেই চলে।
•রেফারেন্স আছে লাগলে আওয়াজ দেন (References available upon request)। এই বাক্যটি কেউ কেউ যোগ করে থাকেন। ব্যাপারটা অহেতুক।