«

»

সেপ্টে. 18

যন্ত্রের ভাষায় কথা বলা (C++) — পর্ব ৩ — চলক ও গণিত

[কোর্সের মূল পাতা | নিবন্ধনের লিংক]

 

কিছুদিনের বিরতি দিয়ে সবাইকে আবার স্বাগত জানাচ্ছি যন্ত্রের ভাষায় কথা বলতে শিখতে শিখতে C++ জানবার এই কোর্সে। প্রাথমিক পরিকল্পণায় সপ্তাহে দুইটি লেকচার প্রকাশের কথা থাকলেও এখন থেকে প্রতি সপ্তাহে বড় করে একটি করে লেকচার প্রকাশ করা হবে।

 

পর্ব ৩, অংশ ১

 

পর্ব ৩, অংশ ২

 

ধারণা ৮ — ইনপুট/আউটপুট

আগের পর্বে আমরা কিছু মৌলিক ধারণার মধ্য দিয়ে প্রোগ্রামিং শিখছিলাম। সেটার ধারাবাহিকতায়ই আমরা জানবো ৮ম ধারণা — ইনপুট/আউটপুট। আগের পর্বে আমরা জেনেছি যে cout এবং লেফট-শিফট (<<)। এক্ষেত্রে স্মরণ রাখতে হবে যে যন্ত্র কোনো প্রকার স্থান-সংকট পছন্দ করে না। যেকোনো তথ্য গ্রহণ করার আগে তা সংরক্ষণের স্থান সংজ্ঞায়িত থাকতে হবে। এই লক্ষ্যেই cin >> এর পর একটি চলক ব্যবহার করতে হবে। যেমন, cin >> SomeVariable;

 

ধারণা ৯ — চলক

এর পরের ধারণা হলো চলক। কোর্সের শুরুতে বলেছিলাম যে আপনাদের মাধ্যমিক বীজগণিত জানা প্রয়োজন। তার কারণ হলো, বীজগণিতের চলকের ধারণাটি প্রায় হুবহু ব্যবহৃত হয় প্রোগ্রামিং-এ। শুধু তাই নয়, প্রোগ্রামিং-এর ক্ষেত্রে একটি চলকের মান হিসাবে সংখ্যার পাশাপাশি বর্ণ বা বাক্যও ব্যবহার করতে পারি!

 

চলক ব্যবহার যেমন সহজ, তার সংজ্ঞায়ণও তেমনি সহজ। প্রতিটি চলকের চারটি বৈশিষ্ট্য থাকে — ধরণ (type), নাম (name), প্রারম্ভিক (initial) মান, এবং বিশেষ (specific) বৈশিষ্ট্য। পূর্ণ ব্যাকরণ হলোঃ [specifier] type name [initializer]; এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে specifier এবং initializer এর ব্যবহার ঐচ্ছিক।

 

ধারণা ১০ — তথ্যের প্রকারভেদ

একটু আগেই আমরা জেনেছি যে C++ -এ চলক শুধু সংখ্যা নয়, অন্যান্য ধরণের তথ্যও ধারণ করতে পারে। মোট ১৪ প্রকারের তথ্য সংজ্ঞায়িত করতে পারি আমরা, যার মধ্যে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ৫টি হলোঃ

 

১) ইন্টিজার (Integer) বা পূর্ণ সংখ্যা, সংক্ষেপে int, উদাহরণ 1

২) ডাবল (Double) বা ভগ্নাংশ, সংক্ষেপে double, উদাহরণ 1.0

৩) ক্যারেক্টার (Character) বা অক্ষর, সংক্ষেপে char, উদারহণ ‘a’

৪) স্ট্রিং (String) বা বাক্য, সংক্ষেপে string, উদাহরণ “Sample string”

৫) বুলিয়ান (Boolean) বা হ্যাঁ/না-বাচক, সংক্ষেপে bool, উদাহরণ true/false

 

 ধারণা ১১ — গাণিতিক সংকেত

C++ -এ গাণিতিক সংকেতের ব্যবহার প্রচলিত গণিতের মতোই। অর্থাৎ, যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগ করার জন্য প্রচলিত সংকেতগুলোই (+,-,*,/) ব্যবহৃত হয়। তবে, এক্ষেত্রে একটি নতুন সংযোজন আছে। একটি সংখ্যাকে আরেকটি সংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে আমরা মূলত “ভাগফল”-কেই ফলাফল হিসাবে চিহ্নিত করি। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, “ভাগশেষ”-ও একটি ফলাফল, যার গাণিতিক তাৎপর্য অনেক ক্ষেত্রেই খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভাগশেষ নিরূপণের জন্য ব্যবহৃত সংকেত হচ্ছে % (মডুলাস)। অর্থাৎ, 43/20 = 2 এবং 43%20 = 3

 

ধারণা ১২ — বিশেষ সংকেত সমূহ

কোড লেখার সুবিধার্থে কী-ওয়ার্ডের (keyword) পাশাপাশি কিছু বিশেষ সংকেতও সংরক্ষিত আছে। যেমন, "n" হলো পরের লাইনে যাওয়ার (প্রচলিত অর্থে কী-বোর্ডে Enter চাপা) সমতুল, "t" হলো একটি Tab চাপার সমতুল, ইত্যাদি।

 

আপনার দ্বিতীয় প্রোগ্রামঃ

কোর্সের ভিডিও লেকচারে একটি ছোট্ট প্রোগ্রাম ব্যবহার করে দেখানো হয়েছে। আপনাদের সুবিধার্থে সেই প্রোগ্রামের কোড এখানে তুলে দিচ্ছিঃ

 

// Example of basic arithmetic:
#include <iostream> // standard I/O library
using namespace std; // allows use of standard definitions
int main()
{
    // declare some variables
    int a,b,c;
    double d,e;
    // get user input
    cin >> b >> c >> e;
    // do some math
    a = (2*b) / c;
    cout << "a is: " << a << endl;
    d = a / e;
    cout << "d is: " << d << "n";
    return 0;
}

Comments

comments

About the author

ইশতিয়াক রউফ

তথ্যপ্রকৌশলী হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত। শিক্ষাগত জীবনে ইলেক্ট্রিকাল (ব্যাচেলর্স -- লুইজিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটি, মাস্টার্স -- ভার্জিনিয়া টেক) ও কম্পিউটার (মাস্টার্স -- ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলাইনা) বিজ্ঞানে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে শিক্ষিত। আগ্রহের বিষয়ঃ খেলাধূলা, ব্লগিং, আলস্য।

Leave a Reply