প্রাথমিক গণিত কোর্সের পড়ুয়াদের স্বাগত জানাই। নিবন্ধন করে না থাকলে চট করে এখানে ক্লিক করে নাও। আর কোর্সের মূল পাতাটা এখানে।
আমাদের আজকের বিষয় দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির সূচনা।
গত ক্লাসে আমরা দেখেছি রোমানরা কাঠির পরিবর্তে চিহ্ন ব্যবহার করে গণণার একটি পদ্ধতি বের করেছে। সেটি ছিল কেবল যোগাত্মক। অর্থাৎ প্রতিটি চিহ্নের একটি, কেবল একটি মান থাকে। পাশাপামি থাকলে সেই মানগুলোর যোগফল, সাধারণভাবে, সম্পূর্ণটার সংখ্যামান প্রকাশ করে।
যেমন XXX হল ত্রিশ।
আর যদি বড় মানের কোন চিহ্নের বামপাশে ছোট মানের কোন চিহ্ন একবার থাকে তাহলে বড়টার তেকে ছোটটার বিয়োগফল হবে তার সংখ্যা মান। যেমন IX হল নয়।রোমান সংখ্যার মধ্যে সবচয়ে বড় হল হাজার। আর যেকোন চিহ্নের ওপর একটি বার দিয়ে তাকে হাজার গুন করা যায়।
এখন পৃথবী থেকে সূর্যের দূরত্ব যদি রোমান সংখ্যায় লিখতে হয় তাহলে মোটামোটি আমার সারাদিন চলে যাবে। এই সীমাবদ্ধতা কাটিযে তোলার বুদ্ধি বের করে ভারতীয় গণিতবিদেরা। আর্যভর্ট আবিস্কার করেন শূন্যের চিহ্ন।
শূণ্যের ব্যাপারটা খুবই কৌথুহল উদ্দীপক।
নাসির উদ্দিন হোজ্জার কথা আমরা অনেকেই জানি। এই জ্ঞানী লোকটি আমার নিজেরও খুব পছন্দের লোক। তা এক সময় তিনি কিছুদিন ছায়া কাজীর কাজ করতেন। একদিন দুইজন লোক তার কাছে আসে। অভিযোগকারী অন্য লোকটিকে দেখিয়ে বলে- বাজারে এই লোকটির কিছু জিনিস মাথা তেকে পড়ে যায়। আমি তখন তার কিছু জিনিষ তার বাসায় পৌছে দেই। তাকে জিঙ্হাষা করি – আমি এগুলো পৌছে দিলে আমাকে কি দেবে? সে বলেছে – কিছু না।
আমি তার জিনিষ বাসায় পৌছে দিয়েছি। কিন্তু রোকটা আমাকে “কিছু না ” দিচ্ছে না। কাজী সাহেব, আমাকে তার কাছ থেকে কিছু না আদায় করে দিন।
হোজ্জা কেমন করে এই সমস্যার সমাধান করলেন? আর তার সঙ্গে কেমন করে আমাদের দশমিক পদ্ধতি জড়িত।
পরের ক্লাসেই আমরা স্থানীয় মান থেকে সংখ্যামানে পৌছৈ যাবো।