«

»

জানু. 12

টেকনিকাল রিপোর্ট রাইটিং – লেকচার ৫ – প্রোগ্রেস রিপোর্ট – পর্ব ১

 

প্রোগ্রেস রিপোর্ট (পর্ব ১)

Technical Report Writing – Progress report part 1 from Shikkhok on Vimeo.

কোন প্রতিষ্ঠানে কোন প্রজেক্টে কর্মরত অবস্থায়, এমনকি রিসার্চ স্টুডেন্ট হিসেবেও আপনাকে নির্দিস্ট প্রজেক্টের আপডেট জানাতে রিপোর্ট লিখতে হতে পারে। তার মানে, কোন প্রোজেক্টের বর্তমান আপডেট এবং পরবর্তী পরিকল্পনা জানাতে সাধারণত প্রোগ্রেস রিপোর্ট লেখা হয়ে থাকে। অধিকাংশক্ষেত্রে নিজের সুপারভাইজার বা সহকর্মীদের উদ্দেশ্যে লেখা হয়। আপনার প্রোগ্রেস রিপোর্টে কেবল আপনার কাজের পারদর্শীতাই নয়, এতে আপনার কমিউকেশন স্কিলও প্রতিফলিত হয়। তাই ভাষার ব্যাবহার, প্রাসঙ্গিক বিষয়ের উপস্থাপন ও কাঠামো সম্পর্কে সতর্ক থাকা জরুরী।
আমি কেবল ছোট পরিসরে যেসব প্রোগ্রেস রিপোর্ট লেখা হয় তা নিয়ে আলোচনা করবো যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সুপারভাজারকে অধিনস্ত কর্মী লিখে থাকেন।
প্রোগ্রেস রিপোর্ট সাধারণত ২ থেকে ৪ পৃষ্ঠার হয়ে থাকে।

প্রোগ্রেস রিপোর্টের মূল অংশগুলোঃ

১. হেডিং (Heading)
২. ভূমিকা বা পরিচিতি (Introduction)
৩. সম্পাদিত কর্মসমূহ (Work completed)
৪. কর্মসূচী পরিকল্পনা (Work scheduled)
৫. সমস্যাসমুহ (Problems encountered)
# ভূমিকাঃ
Ø প্রকল্পের নাম ও উদ্দেশ্য উল্লেখ করুন।
Ø রিপোর্টের সময়সীমা (কোন তারিখ থেকে কোন তারিখ) উল্লেখ করুন।
Ø সংক্ষেপে সম্পুর্ণ রিপোর্টের উদ্দেশ্য এবং অবস্থার সারসংক্ষেপ বলুন।
Øপ্রযোজ্য ক্ষেত্রে পরিচিতিমূলক বিষয়ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত আলোচনা দেয়া যেতে পারে।
# সম্পাদিত কর্মসমূহ (Work completed) (অতীতকাল)
Ø বুলেট ব্যাবহার করে সম্পাদিত কর্মসমুহের বিবরণ দিন।
Ø কালানুক্রমিকভাবে সম্পাদিত কর্মসমুহের উপস্থাপন করা যেতে পারে।
Ø প্রয়োজনে চার্ট বা টেবিল ব্যাবহার করতে পারেন।
# কর্মসূচী পরিকল্পনা (Work scheduled) (ভবিষ্যতকাল)
Ø আগামী রিপোর্ট প্রদানকাল নাগাদ পরিকল্পিত কর্মসমূহের বিবরণ দিন।
Ø সতর্ক থাকুন এতো বেশি কাজের পরিকল্পনা নিবেন না যা আপনার পক্ষে অসম্ভব। আবার অহেতুক সময়ক্ষেপনও যেন না মনে হয়। অর্থাৎ বাস্তবসম্মত কর্মপরিকল্পনা দিন।
# সমস্যাসমুহ (Problems encountered)
Ø যেসব সমস্যা বা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন সেগুলোর বিবরণ দিন। কিভাবে সমাধান করেছেন তা বলুন। এমনকি সাথে কোন পরামর্শমুলক বক্তব্যও দেয়া যেতে পারে যা ভবিষ্যৎ সমস্যা নিরসনের বিবেচ্য হতে পারে।
# রেফারেন্স (Reference)
Ø গবেষণামূলক প্রজেক্টে প্রয়োজনে উল্লেখ করা যেতে পারে।
প্রোগ্রেস রিপোর্ট ফরম্যাট
(নিচের উদাহরণ বড় করে দেখতে ছবির উপরে ক্লিক করুন)
প্রোগ্রেস রিপোর্ট ফরম্যাট
(চলবে)

Comments

comments

About the author

বিলাস আহমেদ খাঁন

আমি খুব মাঝারি গোছের মানুষ। স্কুল-কলেজে কোনদিন ফার্স্ট হইনি, ফেলও করিনি। আমার মেধা কম, কিন্তু হতাশাবাদী নই। আমি বিশ্বাস করি, স্বপ্ন এবং চেষ্টা খুব কম মেধার মানুষকেও অনেক দূর নিয়ে যেতে পারে। আমি জানি, আমাদের দেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই আমার মতো যারা ক্লাসরুমে পেছনের বেঞ্চে বসেই স্বস্তি পায়, অধিকাংশ শিক্ষকই তাদের নাম মনে রাখতে পারেন না। কোন দরকারে শিক্ষকদের কাছে গেলে শুনতে হয় "তুমি আমাদের ছাত্র? কোনদিন তো দেখিনি!" আমি ওইসব শিক্ষার্থীদেরকে বলতে চাই "হতাশ হয়ো না। দুনিয়াতে খুব বেশি মানুষ প্রকৃতির উপহার নিয়ে মেধাবী হয় না। বেশির ভাগ মানুষই তোমার-আমার মতো। অল্প মেধা নিয়েও সততা, ধৈর্য্য, চেষ্টা আর স্বপ্ন দিয়ে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়া যায়।"

পরিচিতিঃ আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত কলেজ অব টেক্সটেইল ইঞ্জিনিয়ারিং (বর্তমানে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে বি এস সি করেছি, এরপর দক্ষিন কোরিয়ার ইনহা বিশ্ববিদ্যালয়ে জিওসিনথেটিক্স নিয়ে গবেষণার চেষ্টা করেছি। ইনহা থেকে মাস্টার্স ও পি এইচ ডি-শেষ করেছি। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন কুইন্সল্যান্ডে বসে কম্পোজিট ম্যাটেরিয়াল সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছি।

Leave a Reply