কেমিকৌশল পরিচিতি কোর্সের দ্বিতীয় সপ্তাহের লেকচারে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এ সপ্তাহে থাকছে বস্তুর হিসাব (Material Balance) কীভাবে করা হয় তার উপর একটি ভিডিও লেকচার, এবং দুজন কেমিকৌশলীর সাক্ষাতকার যাতে অংশ নিয়েছেন কানাডায় কর্মরত ড. মহিদুস সামাদ খান, এবং সিঙ্গাপুরে কর্মরত কেমিকৌশলী আকলিমা আফজাল। ড. মহিদ আমাদেরকে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কেমিকৌশলের ব্যবহার সম্পর্কে জানাবেন। অন্যদিকে আকলিমা আফজালের কাছ থেকে আমরা জানবো কীভাবে একজন কেমিকৌশলী তার দক্ষতাকে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে কাজে লাগাতে পারেন। উৎসাহী পাঠকদের জন্য এই লেকচার নোটের শেষে থাকছে প্রফেসর J. M. Prausnitz’র লেখা একটি চমৎকার প্রবন্ধের লিঙ্ক।
শুরুতে থাকছে মূল লেকচার ভিডিও যেখানে আমরা আলোচনা করেছি কীভাবে বস্তুর হিসাব বা ম্যাটেরিয়াল ব্যালেন্স করা হয়।
ম্যাটেরিয়াল ব্যালেন্স যে সব কাজে লাগে-
- সঠিকভাবে একটি প্লান্ট চালাতে
- সঠিকভাবে একটি প্লান্ট ডিজাইন করতে
- কাঁচামাল এবং উৎপাদিত পণ্যের হিসাব করতে
- শিল্প-কারখানা থেকে কি পরিমাণ দূষণ ঘটছে সেটা নিরূপণ করতে
- প্লান্টের নানান ইউনিটের সাইজিং করতে, ইত্যাদি।
মূলত বস্তুর নিত্যতার সূত্রকে কাজে লাগিয়েই ম্যাটেরিয়াল ব্যালেন্স করা হয়। বস্তুর নিত্যতার সূত্র অনুযায়ী, আবদ্ধ সিস্টেমের মধ্যে যে পরিমাণ বস্তু ঢুকবে, ঠিক সেই পরিমাণ পদার্থই আবার ঐ সিস্টেম থেকে বেরুবে (What goes in, must come out)। এই ধারণাকে কাজে লাগিয়েই আমরা কোনো একটি শিল্প ইউনিটের মধ্যে কি পরিমাণ পদার্থ ঢুকছে এবং কি পরিমাণ বেরুচ্ছে সেটা হিসেব করতে পারি। একটি উদাহরণ সহকারে ম্যাটেরিয়াল ব্যালেন্সের ধারণাটি উপরের ভিডিওটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ম্যাটেরিয়াল ব্যালেন্সের গুরুত্ব সম্পর্কে তথ্য থাকছে আমাদের সাক্ষাতকারেও। প্রথম সাক্ষাতকারে ড. মহিদুস সামাদ খান আলোকপাত করেছেন কেমিকৌশলের বিভিন্ন বিষয়ের উপর। তিনি যেসব বিষয়ে কথা বলেছেন তাদের মধ্য আছে-
- বায়োলজি, পদার্থিবিজ্ঞান, গণিত – এগুলোর জ্ঞান কেমিকৌশলিরা কীভাবে তাদের কাজে ব্যবহার করেন?
কেমিকৌশল, রসায়ন, ব্যবহারিক রসায়ন, কেমিক্যাল টেকনোলোজি – এগুলোর মধ্যেকার পার্থক্য আসলে কি? আমি কি ব্যবহারিক রসায়ন বিষয়ে পড়াশোনা করে কেমিকৌশলের উপর কাজ করতে পারবো?
বাংলাদেশে কেমিকৌশলের ভবিষ্যত কি?
স্বাস্থ্য ও পরিবেশ – এই দুই সেক্টরে কেমিকৌশলীরা কী ধরণের ভূমিকা রাখেন?
নিচে থাকছে সাক্ষাতকারটির ভিডিও (অডিও রেকর্ডিংও শুনতে পারবেন এখান থেকে)।
এ সপ্তাহের অন্য সাক্ষাতকারে সেমিকন্ডাকটর শিল্পে কর্মরত কেমিকৌশলী আকলিমা আফজালকে যে সব প্রশ্ন করেছিলাম তাদের মধ্যে ছিল-
- আপনি কেন কেমিকৌশলকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন?
- আপনার সম্পর্কে বলুন, কি পড়েছেন, এখন কোথায় কাজ করছেন?
- আপনার প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত মূল পণ্যগুলি কি? এ রকম একটি শিল্পে কেমিকৌশলীরা কোন ক্ষেত্রে অবদান রাখেন?
- বাংলাদেশে এরকম শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা সম্ভব?
- কেমিকৌশলে নারীর অংশগ্রহন সম্পর্কে বলুন। কি কি কারণে আপনার মনে হয় নারীরা কেমিকৌশলী হিসেবে সাফল্য লাভ করছেন/করতে পারেন?
আকলিমা আফজালের সাক্ষাতকারটি শুনতে পাবেন এখানে – সাক্ষাতকারের অডিও।
এ সপ্তাহের পাঠঃ
- প্রফেসর জে এম প্রসনিজের লেখা Chemical Engineering and the Postmodern World
কৃতজ্ঞতাঃ
ড. মহিদুস সামাদ খান এবং কেমিকৌশলী আকলিমা আফজালকে অশেষ ধন্যবাদ সাক্ষাতকার দুটি দেবার জন্য। ড. মহিদকে বিশেষ ধন্যবাদ অডিও সাক্ষাতকারের সাথে চমৎকার ভিডিওটি জুড়ে দেবার জন্য।
কুইজ