বিদ্যাকৌশল — সহজে শেখা, মনে রাখা, ও ভালো ফল করার পদ্ধতি

বিদ্যাকৌশল — সহজে শেখা, মনে রাখা, ও ভালো ফল করার পদ্ধতি।

 

নিবন্ধনের লিংক – দয়া করে এখানে ক্লিক করে কোর্সে  ফ্রি রেজিস্ট্রেশন করে নিন। 

 

কাদের জন্য কোর্স — সব পর্যায়ের শিক্ষার্থীর জন্য। এবং শিক্ষার্থী ছাড়াও অন্য সবার জন্য এই কোর্সটি কাজে আসবে। কারণ এই কোর্সে শেখানো হবে কীভাবে সহজে অল্প সময়ে শিখতে হয়। পড়া কিংবা চাকুরি কিংবা শখের বিষয় — যেকোনো কিছু শেখার জন্যই এই কায়দাগুলো কাজে আসবে। কাজেই কেবল শিক্ষার্থী নয়, সবার জন্যই এই কোর্সটি।

 

কোর্সে ব্যবহৃত বই –

 

bidyakoushol-coverকোর্সের সাথে সাথে বিদ্যাকৌশল বইটি যোগাড় করে নিতে পারেন, কারণ কোর্সের সবকিছু সেখানেই আলোচনা করা হয়েছে।(বইটি অনলাইনে কেনার লিংক এখানে), তবে সেটা না করলেও সমস্যা নাই।

 

কোর্সের বর্ণনা —

লেখা পড়া, শেখা, মনে রাখা — এসব কি শেখার বিষয়? অবশ্যই। পড়ালেখায় কেউ ভালো করে, আর কেউ করে না, কারণ যারা ভালো করে, তারা পড়াশোনা করা ও ম্মনে রাখার কিছু কায়দা জানে। এটাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভালো আর খারাপ ছাত্রের মধ্যে পার্থক্য।

 

কারো জন্য পড়াশোনা করা, ভালো ফলাফল করা, ভালো করে কিছু শেখা খুব সহজ কাজ। আবার কারো জন্য এটা খুবই কঠিন একটা কাজ। কিন্তু কেনো? মেধা? মেধা একটা ব্যাপার বটে, কিন্তু একমাত্র ব্যাপার না।

 

পড়াশোনা করতে গেলে, কিছু শিখতে গেলে কেবল মেধা নয়, এর সাথে সাথে লাগে কিছু কৌশল জানা। ভালো করে শেখার, মনে রাখার, এবং বুঝে শুনে সেটা কাজে লাগানোর কায়দাকৌশল।

 

এটা যারা জানে, তারা ভালো ছাত্র/ছাত্রী, অল্প সময়েই পড়া শেষ করে ও শিখে ফেলে তারা পরে পরীক্ষাতেও তা লিখে আসতে পারে, ভালো ফল করে। আর যারা জানে না তারা অনেক চেষ্টা করেও সেরকম ভালো ফলাফল পায়না।

 

মেধা জন্মগত বটে, কিন্তু গোপন কথাটা বলে দেই, মেধা কিন্তু কারো ভালো শিক্ষার্থী হবার প্রধান নিয়ামক না। অনেকগুলা ফ্যাক্টরের মধ্যে মেধা একটি মাত্র ফ্যাক্টর। এবং সুখবরটা হলো চেষ্টা দিয়ে, কায়দাকৌশল শিখে মেধার কমতিটা পুশিয়ে নেয়া অবশ্যই সম্ভব।

 

এই কোর্সে হাতে কলমে শেখানো হবে ভালো করে সঠিক নিয়মে পড়াশোনা করা, কোনো কিছু শেখার কায়দাকৌশল, এই কায়দাগুলার নাম দিয়েছি বিদ্যাকৌশল।

ভালো ছাত্ররা এই বিদ্যাকৌশল জানে, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা এই কৌশলগুলা অন্যদের জানাতে চায় না, অথবা মেধার চাইতে এই বিদ্যাকৌশলের জোরেই যে তারা ভালো ফলাফল করছে, পাচ্ছে সাফল্য, সেটা তারা জানে না। এই বইটি লেখার উদ্দেশ্যই হলো সবার জন্য এই পড়ালেখায় ভালো করার কৌশলগুলা গুছিয়ে তুলে ধরা।

কোর্সের সিলেবাস –– কোর্সটিকে ভাগ করা হচ্ছে ১৮টি লেকচারে। সপ্তাহে দুই বা ততোধিক লেকচার দেয়া হবে। প্রতিটী মাইক্রোলেকচার হবে ৫ থেকে ১০ মিনিটের। এর সাথে দেয়া হবে স্লাইড/হ্যান্ডআউট।

 

কবে থেকে শুরু? – ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৬ থেকে, চলবে ৫ সপ্তাহ।

 

লেকচার তালিকা 

 

ভালো ছাত্র হবার পরিকল্পনা

দ্রুতপঠন – কী করে দ্রুত পড়বেন?

পড়ার পরিবেশ

পড়ার মোক্ষম সময় বের করা

শ্রেণীকক্ষে শিক্ষা – লেকচার থেকে শেখা, ক্লাসনোট তোলা

শেখার নানা কায়দা

গ্রুপ স্টাডি

 

দ্রুতলিখন, কী করে লিখবেন দ্রুত?

দ্রুত পড়ে বোঝা ও শেখার উপায় – তিনটি কার্যকর পদ্ধতি

মনে রাখার সহজ উপায়

পড়ায় মন বসানো.

মনোযোগ বাড়ানোর কৌশল

পরিকল্পনা করার কার্যকর পদ্ধতি

পরীক্ষার প্রস্তুতি ও ভালো করার উপায়

আলসেমি হতে বাঁচবেন কী ভাবে?

হতাশা কাটানো/আত্মবিশ্বাস বাড়ানো

পরীক্ষা ভীতি/নার্ভাসনেস কাটানো

পড়াশোনায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার

 

লেখক পরিচিতি – 

ডঃ রাগিব হাসান একজন কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও শিক্ষক। জন্ম চট্টগ্রামে। স্কুল জীবন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পর্যায় — সবখানেই রাগিব অর্জন করেছেন অসাধারণ ভালো ফলাফল। পড়াশোনা করেছেন চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল এবং চট্টগ্রাম কলেজে। এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে চতুর্থ ও এইচএসসিতে প্রথম মেধাস্থান অধিকার করেন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষায় ১ম স্থান লাভ করে তিনি কম্পিউটার কৌশল বিভাগ হতে সর্বোচ্চ জিপিএ নিয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। — সব বিভাগে সেরা ফলাফলের জন্য পান চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল। বুয়েটে কিছুদিন শিক্ষকতার পরে উচ্চশিক্ষার্থে যুক্তরাষ্ট্রে যান, সেখানে কম্পিউটার নিরাপত্তার উপরে মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি — ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয় অ্যাট আরবানা শ্যাম্পেইন থেকে। তারপর যোগ দেন অধ্যাপনা পেশায়। বর্তমানে তিনি ইউনিভার্সিটি অফ আলাবামা অ্যাট বার্মিংহাম এর কম্পিউটার বিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক এবং সিক্রেটল্যাব নামের গবেষণাগারের প্রতিষ্ঠাতা — গবেষণা করছেন কম্পিউটার নিরাপত্তা ও ক্লাউড কম্পিউটিং নিয়ে। গবেষণার উৎকর্ষের জন্য মার্কিন জাতীয় বিজ্ঞান ফাউন্ডেশন থেকে ২০১৪ সালে পেয়েছেন ক্যারিয়ার পুরস্কার।

 

পেশায় কম্পিউটার বিজ্ঞানী হলেও রাগিবের মন পড়ে থাকে বাংলায়, বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির দিকে। বাংলা উইকিপিডিয়ার শুরু থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন, বাংলা ব্লগিং এর সাথে জড়িত থেকেছেন ২০০৫ থেকে। সবার কাছে জ্ঞানের আলো ছড়াবার জন্য অনলাইনে বাংলায় মুক্তজ্ঞানের সাইট শিক্ষক.কম (http//www.shikkhok.com) প্রতিষ্ঠা করেছেন ২০১২ সালে। সেজন্য পেয়েছেন ২০১২ সালে Google RISE Award, Information Society Innovation Fund Award, Internet Society Grant, mBillionth Award। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধিদের জন্য ব্রেইল ও অডিও বই বানাবার ক্রাউডসোর্সড প্রজেক্ট বাংলাব্রেইল প্রতিষ্ঠা করেছেন ২০১৩ সালে, এর জন্য ২০১৪ সালে পেয়েছেন ডয়চে ভেলের The Best of Blogs and Online Activism (The BoBs) Award।

 

Comments

comments